বৈশাখের শুরুর দিনই তাপমাত্রার পারদ ওঠে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিনে তা আরও বেড়ে ঠেকেছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা ওই উপজেলায় ৪৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
শুধু খেপুপাড়া নয়, তীব্র গরমে রাজধানী ঢাকার জনজীবনও অতিষ্ঠ। অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস নগরজীবন। ঢাকায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হলেও অনুভূতি যেন আরও বেশি। তাপপ্রবাহের কারণে গণপরিবহনের যাত্রী ও পথচারীরা ভীষণ কষ্টে চলাচল করছেন। ফুটপাতের খোলা দোকান ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জীবনযাপন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। এরমধ্যে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বৃষ্টি হয় রাজধানীতে। কিন্তু এতে কমেনি গরম।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলতি এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় দমকাসহ ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে খুব বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে দেশের সাত বিভাগে তাপপ্রবাহ বইছে। আগামী আরও কয়েকদিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রচণ্ড গরমে বেশি বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকরা। গুলশান-১ থেকে বনানী এলাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন আশরাফ হোসেন। গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। থাকেন কড়াইল বস্তিতে। মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান-১ নম্বর চত্বর থেকে কিছুটা সামনে এগিয়ে গলির রাস্তায় তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার তো পায়ে চালানো রিকশা। দুই প্যাডেল মারলেই গলাডা শুকিয়ে আসে। এত গরম যে মাথার মধ্যে ঘুরিয়ে উঠছে। কিন্তু ভাড়া না মারলে তো সংসার চলবে না। কবে বৃষ্টি হইবো, দুনিয়াডা একটু ঠান্ডা হইবো?’