রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeসারা বাংলা১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি

১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি

মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি হয়েছে দরিদ্র বাবার কন্যা জয়নবের। চাকরি নামের সোনার হরিণ পাওয়ায় এখন ছোট্টবেলার স্বপ্ন পূরণ হলো তার। এদিকে কোন ধরণের ঘুষ ছাড়াই অভাব অনটনের সংসারে ৪র্থ মেয়ের চাকরির খবর শুনে অনেকটাই হতবাক হলেন তার শ্রমিক বাবা শাহ আলম। লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের পাঁচ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তারা। ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৪ এর চূড়ান্ত ফলাফলের পর শনিবার রাতে এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন বাবা ও মেয়ে। একইভাবে জেলার মোট ৪৪ জনের চাকুরি হয়েছে বলে জানায় পুলিশ সুপার। ফলাফলের পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেছেন পরিবারসহ উত্তীর্ণরা সবাই।

জানা যায়, স্ত্রী ডলি আক্তার ও ৫ মেয়েকে নিয়ে অভাব অনটনের সংসার চলছিল ৬৫ বছর বয়সী শ্রমিক শাহ আলমের। জীবনযুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে একটি দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পাওয়ার পর এখন বৃদ্ধ বয়সে বেকার তিনি। এমন প্রেক্ষপটে এসে ৪র্থ মেয়ে বিবি জয়নবের সরকারি চাকরির খবর পেয়ে অনেকটাই আশ্চার্য হন তিনি। চোখের জল টলমলে অবস্থায় অনুভূতি প্রকাশ করেন এই বাবা। কোন ধরণের ঘুষ ছাড়াই মেয়ের চাকরি হওয়ায় সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরবে এখন এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।

একইভাবে চাকরি হয়েছে পৌর শহরের দক্ষিন মজুপুর এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে ইউছুফ হোসেন। তার অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় আমার চাকুরি হয়েছে, এতে আমি আনন্দিত। সঙ্গে থাকা তার ভাই খুরশিদ আলম জানান,  ৪ ভাই এর মধ্যে ছোট ভাইয়ের ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি হওয়াতে এখন আমাদের পরিবার মহা খুশি। উত্তির্ণরা সবাই অন্যরকম অনুভূতি প্রকাশ করেন।
জানা যায়, পুলিশে চাকরি পেতে প্রার্থীদের ভিড় জমে পুলিশ লাইন্সে। সারি সারি লাইনে দাঁড় করিয়ে বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী মোট আবেদনকারী ছিল ১৭৪৩ জন। তিন দিনব্যাপী চলে মাঠ পরিক্ষা (শারীরিক)। এরপর বাছাইকৃত ৩৮৪ জন অংশ নেন লিখিত পরিক্ষায়। এর মধ্যে উত্তির্ন হন ১০০ জন। এর মধ্যে ৯৯ জন পরিক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী চূড়ান্তভাবে মনোনিত হন। শনিবার রাতে পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এসময় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এদিকে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশীদ বলেন, স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ গঠনে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ পুলিশ। স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া হলো তারই অংশ, নতুন যারা নিয়োগ পেয়েছে সবাই জনসেবায় আত্ম নিয়োগে আগামীর বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন