মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের একটি হাসপাতালে বোমা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দেশটির জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
রাখাইনের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে গত কয়েক দশক ধরে লড়াই করে আসা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) এই তথ্য জানিয়েছে।
তাদের দাবি, মিয়ানমার জান্তা ‘এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বিধ্বংসী বোমা’ দিয়ে হাসপাতালে হামলা করেছে।
আরাকান আর্মি (এএ) বলেছে, জান্তার সামরিক বাহিনী রাখাইন প্রদেশের উপকূলীয় শহর রামরিতে আরও শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক বোমা ফেলতে শুরু করেছে।
আরাকান আর্মি আরও বলেছে, গত মঙ্গলবার বিকালে জান্তা বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশের শহর এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতে আরও শক্তিশালী বোমা ফেলতে শুরু করার পরে সেখানকার একটি সরকারি হাসপাতাল এবং শহরের মায়োমা বাজার ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়া বিমান হামলায় বেসামরিক ঘর-বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে।
সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি বলেছে, জান্তা বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো গত মঙ্গলবার হামলার সময় ৫০০-পাউন্ড এবং অন্যান্য বোমা ফেলেছে। এসব বোমা পূর্বে ব্যবহৃত বোমাগুলোর চেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক ছিল।
এছাড়া মঙ্গলবার সকালে শহরের ইন টাং ওয়ার্ডে জান্তা বাহিনীর তিনটি বিমান হামলায় বৌদ্ধ নানদের একটি কনভেন্টও ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রামরি শহরে আরাকান আর্মি এবং জান্তা সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে আরাকান আর্মির সৈন্যরা শহরের দক্ষিণে অং চ্যান থার পাহাড়ের চূড়ার প্যাগোডায় অবস্থানরত সরকারি বাহিনীর সাথেও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
তারপর থেকে জান্তা বাহিনী এই শহরটিতে ঘন ঘন আকাশ, সমুদ্র এবং স্থল পথে বোমাবর্ষণ করে চলেছে।
এছাড়া গত মঙ্গলবার রাখাইন প্রদেশের সরকারি বাহিনীর ঘাঁটিগুলো থেকে পোন্নাগিউন, রাথেদাউং ও বুথিদাউং শহর এবং প্রাদেশিক রাজধানী সিট্যুয়েতে শহর ও গ্রামের আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে।
আরাকান আর্মি বলেছে, আলাল সু নামে পোন্নাগিউন শহরের একটি সম্পূর্ণ আবাসিক ওয়ার্ড গত মঙ্গলবার ধ্বংস করে দেয় নিকটবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থানরত শাসকগোষ্ঠীর সেনারা। সূত্র: দ্য ইরাবতি