যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি। অগ্নিসন্ত্রাসী, অপরাধী বিএনপিকে মানুষ কোনো দিনও ভোট দিবে না। আজকে বিএনপির সাথে দেশের জনগণও নাই, পশ্চিমা বিশ্বও নাই। সেই অপরাধবোধ থেকে মানুষের সামনে ভোট চেতে যেতে ভয় পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে।
সোমবার রাজধানীর পল্টনে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স স্টেডিয়াম এলাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ পরশ।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ পরশ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের সমস্যা সমাধান করে আপনাদের জীবনমান উন্নত করা। আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার উপর আস্থা রাখতে হবে। আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীদের জয়ী করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন ছিল যাতে করে আমাদের মেহনতি, শ্রমজীবী মানুষ যেন তাদের রুজি-রোজগার করার অধিকার, তাদের মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণকরণ ও সাধারণ মানুষ যেন তাদের মতামত পেশ করতে পারে। আজকে যুক্তরাষ্ট্রও প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপ বিনিয়োগ বাড়াতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। অথচ আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে বিএনপির সময় কি দূরাবস্থা ছিল আমাদের সামগ্রিক জীবনে।
শেখ পরশ আরও বলেন, মানুষের ভাত এবং কাপড়ের সমস্যাতেই সাধারণ মানুষ জর্জরিত থাকত। গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং সারের জন্য মানুষের উপর গুলি চালানো হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে। চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি লেগেই ছিল। মানুষের জীবনে কোন নিরাপত্তা ছিল না, ছিল না মানুষের অধিকার। গরিব-দুঃখী মানুষ নিয়ে তাদের কোনো দিনই কোনো মাথা ব্যাথা ছিল না।
তিনি বলেন, যখনই এদেশের মানুষের জীবনে উন্নতি হয়েছে অথবা আরও অধিকতর উন্নতির সুযোগ রয়েছে, তখনই এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে বিএনপি-জামায়াত। আজকেরও তাদের এই কালো পতাকা মিছিল তাদের কু-মতলবের আভাস বহন করে এবং একটা অশনি সংকেতের ইঙ্গিত বহন করে। আবারও কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাঁয়তারা করছে কিনা সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ঠিক যখন আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র দূর করে এদেশের মানুষের মুখে দুবেলা ভাতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে, ভূমিহীনদের বিনামূল্যে জমি, ঘর ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, ঠিক তখন বিএনপি-জামায়াত এই সকল অশুভ পাঁয়তারা শুরু করেছে। যখন আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, ঠিক তখন ওরা আবার জনবিরোধী কার্যকলাপ করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান যুবলীগের অন্যতম লক্ষ্য রাষ্ট্রের মানবিক ধারাকে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এবং গণমানুষের সুখে-দুঃখে সাথি থাকা। এ লক্ষ্যে যুবলীগ ইতোমধ্যে বেশ কিছু মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে যার একটি সামান্য প্রয়াস আজকের এই শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান। যুবলীগের সকল নেতা-কর্মীরা মানুষের পাশে থাকবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জসিম মাতুব্বর, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা খানমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।