শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeলাইফস্টাইলঋণগ্রস্তকে ক্ষমা করার প্রতিদান

ঋণগ্রস্তকে ক্ষমা করার প্রতিদান

লেনদেনে মানুষকে ছাড় দেওয়া উত্তম, বিশেষত নির্ধারিত সময়ে ঋণ গ্রহীতা অক্ষম হলে তাকে সুযোগ দেওয়া উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি অভাবী হয়, তাকে সচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে সেটা তোমাদের জন্য আরো উত্তম, যদি তোমরা তা জানতে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৮০)

অসামর্থ্যবান ব্যক্তির ঋণ মওকুফ করা খুবই উত্তম কাজ।

হাদিসে এর পারকালীন প্রতিদান হিসেবে জান্নাতের কথা বর্ণিত হয়েছে। হুজায়ফ বিন ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের আগের যুগে এক ব্যক্তি ছিল। তার প্রাণ কবজ করতে তার কাছে মৃত্যুর ফেরেশতা আসে। সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তুমি কি কোনো ভালো কাজ করেছ? সে বলল, আমি তো জানি না।

তখন তাকে চিন্তা করতে বলা হয়। অতঃপর সেই ব্যক্তি বলল, একটা বিষয় ছাড়া আমার কোনো কিছু জানা নেই। তাহলো দুনিয়ায় মানুষের সঙ্গে ব্যবসার সুবাদে আমাকে লেনদেন করতে হতো। তখন আমি সামর্থ্যবানদের ঋণ পরিশোধের আরো সুযোগ দিতাম এবং অভাবীদের ক্ষমা করে দিতাম।

অতঃপর (এই মহৎ কাজের প্রতিদানে) মহান আল্লাহ সেই লোককে জান্নাতে প্রবেশ করান। (বুখারি, হাদিস : ৩৪৫১)
অন্য হাদিসে ঋণ মওকুফ করায় ক্ষমা লাভের কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, এক ব্যক্তি কখনো ভালো কাজ করেনি। সে মানুষের সঙ্গে তার লেনদেন করত। সে তার প্রতিনিধিকে বলেছিল, তুমি যতটুকু সহজ ততটুকু করবে এবং কঠিন মনে হলে ছেড়ে দেবে।

আর মাফ করে দেবে। হয়তো আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবেন। মৃত্যুর পর আল্লাহ তাকে বলেন, তুমি কি কখনো কোনো ভালো কাজ করেছ? সেই ব্যক্তি বলল, না। তবে আমার একজন দাস ছিল। মানুষের সঙ্গে আমার লেনদেন ছিল। আমি দাসকে পাঠানোর সময় বলতাম, সামর্থ্যবানদের থেকে গ্রহণ করবে। আর অক্ষমদের অংশ ছাড়ে দেবে এবং ক্ষমা করবে। আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাকে ক্ষমা করলাম।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫০৪৩)

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন