বাংলাদেশ থেকে জাপানে সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রুটের ফ্লাইট উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। ছয় ঘণ্টায় ঢাকা থেকে জাপান উড়ে যাবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ‘জাপানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন , বিমান পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল, সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান নিবাহী কর্মকর্তা সফিউল আজিম, বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এয়ারলাইন্স সংস্থাটি জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ-জাপান রুটে বিমানের উদ্বোধনী ফ্লাইট বিজি ৩৩৬ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নারিতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে। জাপানের নারিতা পৌঁছাবে স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে। সেখান থেকে প্রথম ফ্লাইট বিজি ৩৭৭ শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবে। পৌঁছাবে শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায়। অত্যাধুনিক মডেলের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে এই ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
বিমান জানিয়েছে, ঢাকা থেকে প্রতি সপ্তাহে শুক্র, সোম ও বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে জাপানের উদ্দেশে বিমান ছেড়ে যাবে। প্রতি সপ্তাহে শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
জানা গেছে, ঢাকা-জাপান রুটে ২৫ জুলাই থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বিমান। ঢাকা-নারিতা রুটে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ৭০ হাজার ৮২৮ টাকা থেকে শুরু হবে। রিটার্ন টিকিটের মূল্য জনপ্রতি এক লাখ ১১ হাজার ৬৫৬ টাকা থেকে শুরু। তবে নতুন রুট উদ্বোধন উপলক্ষে ছাড় দিয়েছে বিমান। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ মূল্য ছাড় দেওয়া হয়। সে সময়ে ঢাকা-নারিতা রুটে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া জনপ্রতি সর্বমোট ৪৯ হাজার ১০০ টাকা ছিল। রিটার্ন টিকিটের ভাড়া শুরু ছিল ৮৪ হাজার ৪৯৬ টাকা থেকে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে উদ্বোধনী ফ্লাইটে অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে।
এই রুটটিকে লাভজনক করতে ঢাকার পাশাপাশি কাঠমান্ডু, দিল্লি ও কলকাতার যাত্রীদের কাছেও প্রচারণা চালিয়েছে বিমান। তবে ঢাকা নারিতা ফ্লাইটের সময়ের সঙ্গে কলকাতা, দিল্লি, নেপালের ফ্লাইটের সময়ের পার্থক্য বেশি হওয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে বিমানকে।
ইতোমধ্যে নারিতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কলকাতা, দিল্লি, নেপাল রুটের ফ্লাইটের সময়ে পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে বিমান।