চলতি বছরে ইতোমধ্যে ২ হাজার ৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন বেশি। গত বছর মোট ১ হাজার ৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছিল।
গতবছর ২৮টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছিল, এবছর ৩৪টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ১২৫৬ টন, ইতালিতে ২৯৬ টন, সৌদি আরবে ২৬০ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩৭ টন, কাতারে ১১১ টন, সিঙ্গাপুরে ৫৫ টন, সুইজারল্যান্ডে ১৪ টন, জার্মানিতে ৭০ টন, ফ্রান্সে ৮৫ টন, সুইডেনে ৬৫ টন, কুয়েতে ২১৮ টন ও কানাডায় ৪০ টন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম। ২০১৭-১৮ সালে মাত্র ২৩২ টন, ২০১৮-১৯ সালে ৩১০ টন, ২০১৯-২০ সালে ২৮৩ টন, ২০২০-২১ সালে ১৬৩২ টন, ২০২১-২২ সালে ১৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছে।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আমের বিপুল চাহিদা থাকলেও উত্তম কৃষি চর্চাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আম উৎপাদন ও প্যাকেজিং না হওয়ায় রপ্তানির পরিমাণ কম। সেজন্য, ‘রপ্তানি বৃদ্ধি করতে কৃষি মন্ত্রণালয় রফতানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে প্রকল্পের প্রথম বছরেই গত বছরের তুলনায় এক হাজার টন আম বেশি রপ্তানি হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর আরো ১৫-২০ দিন আম রপ্তানি হবে।