কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গৃহবধুকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় পারুল আক্তার নামের এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ৩ আগষ্ট দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোঃ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সনের ২ মে যৌতুকের জন্য করিমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলুখলা গ্রামের গৃহবধু পাপিয়া আক্তারকে মারধর করে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত পাপিয়া আক্তারের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ফুপুশাশুড়িকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে স্বামীকে বাদ দিয়ে বাকি ৩ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য জেরা শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত গৃহবধূ পাপিয়ার ফুফুশ্বাশুড়ি পারুল আক্তারকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি দুজনকে অব্যাহতির আদেশ দেন।