নোয়াখালীর চারটি উপজেলায় একদিনে পানিতে ডুবে দুই ভাইসহ ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুরা হলো কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বপুর গ্রামের ছিদ্দিক ভূঁইয়া বাড়ির আবু নাছেরের ছেলে রিফাত (৯) ও রিফান (৭)। সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রামের মো. হোসেনের মেয়ে রিয়া বেগম (৯) এবং তার ভাই সালাউদ্দিনের মেয়ে নাসরিন আক্তার (১১)। হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের লামছরি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে নিহা (৫) এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহি ইউনিয়নের আকতার হোসেনর ছেলে আবু বকর (৫)।
বুধবার ৫ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত জেলার কবিরহাট, সুবর্ণচর, হাতিয়া ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত তিন দিনে জেলায় ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কবিরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিদার উল আলম ও হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এসআই দিদার বলেন, দুপুর পৌনে ১টার দিকে রিফাত ও তার ভাই রিফান পুকুরের পাশে অন্য শিশুদের সাথে খেলছিল। ওই সময় প্রতিবন্ধী রিফাত ও তার ভাই রিফান পুকুরের পানিতে ডুবে তলিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দু’ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
এএসআই জহির জানান, শিশু নিহা সকাল ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের সদস্য বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
অপরদিকে, সুবর্ণচর উপজেলার চর বৈশাখী গ্রামের রিয়া বেগম (৯) ও তার চাচাত বোন নাসরিন আক্তার (১১) পরিবারের সাথে ঢাকায় বসবাস করত। তারা ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যায়। দু’জনেই সাঁতার জানে না। আজ দুপুর ৩টার দিকে দু’বোন পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। ওই সময় তাদের পরিবারের সদস্যরা পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুর থেকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার কর হয়। পরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
চরজব্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল ওয়ারেছ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।