ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই-ছুঁই করছে। নদীতে পানি বাড়ায় নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপ চরের কিছু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আগাম পূর্বাভাস থাকায় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টা দেশের উত্তরাঞ্চলের উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার দেড় মিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১ দশমিক ৬৯ মিটার, ধরলা নদী কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ১ দশমিক ৭১ মিটার, তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১ দশমিক ৩৭ মিটার, দুধকুমার নদী পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার ১ দশমিক ৬২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে রংপুরের ছোট নদীগুলোতেও পানি বাড়ছে। যমুনেশ্বরী নদী বদরগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ দশমিক ৬২ মিটার ও ঘাঘট নদী জাফরগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ দশমিক ৩৭ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, ঈদের দিন পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। আবার কমে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের হালনাগাদ তথ্য সব সময় ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকা বাসিন্দাদের জানাচ্ছি।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বাড়তে পারে। এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় এ অঞ্চলের পানি দ্রুত বাড়তে পারে এবং নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।