ইউরোপীয় ফুটবলে ঝড় তুলছে ম্যানচেস্টার সিটি। চলতি মৌসুমে ট্রেবল জয়ের হাতছানি ক্লাবটির সামনে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থেকে সেমিতে পা দিয়েছে ২০২১ সালের ফাইনালিস্টরা। এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলে তর্কসাপেক্ষে সবচেয়ে আলোচিত আর্লিং হলান্ডের মতো গোলমেশিন রয়েছে সিটির ডাগআউটে। ইংলিশ ক্লাবটিতে নাম লেখানোর পর অবিশ্বাস্য এক মৌসুম কাটাচ্ছেন নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকার। রেকর্ডের পর রেকর্ডে রাঙাচ্ছেন একেকটি রাত। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই রিয়ালের বিপক্ষে মহারণের আগেও আলোচনার বড় অংশজুড়ে তিনিই।
তবে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তির ভাবনায় শুধু হলান্ড নয়। তার ভালো করেই জানা আছে, হলান্ড ছাড়াও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কেভিন ডি ব্রুইনে, মাহরেজ ও ফোডেনরা ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন। সোমবার (৮ মে) সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বললেন, সিটির গোটা দলকেই থামানো হবে কঠিন লড়াই।
লস ব্লাঙ্কোস কোচ বলেন, ‘শুধু একজন ফুটবলারকে থামাতে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি না, আমরা প্রস্তুত হচ্ছি গোটা দলকে থামাতে। যাদেরকে এই মুহূর্তে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছে। হলান্ডকে জায়গা করে দিতে ম্যানচেস্টার সিটি তাদের খেলার ধরন পাল্টায়নি। বরং তাকে লম্বা বল খেলিয়ে এবং আরও ‘ডিরেক্ট অ্যাপ্রোচ’ নিয়ে উর্ধ্বাধভাবে তাদের বিকল্প এখন আরও বেশি। এসবের পরও তারা এমন একটি দল, বল পায়ে তারা দুর্দান্ত ও খুবই ভালো খেলে।’
সিটির আগ্রাসী ফুটবলের সামনে রক্ষণভাগেই যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, তাও ভালো জানা আছে আনচেলত্তির। তাই পরিকল্পনায় জোর দেওয়া হচ্ছে এখানেই। বলেন, রক্ষণে খুব ভালো করতে পারলে সবচেয়ে খারাপ ফলাফলও হতে পারে একটি ড্র। তার পরও গত মৌসুমে আমরা পাঁচটি গোল হজম করে ছয়টি গোল করে ওদেরকে হারিয়েছিলাম। এবারও এমন কিছু হলে আমি সানন্দে গ্রহণ করে নেব।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনও পর্যন্ত ১২ গোল করে ইউরোপ সেরার মঞ্চেও সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হলান্ড। তাকে ঘিরেই দল গোছাচ্ছে পেপ তা বোলার অপেক্ষা রাখে না। আর অনেকের মতে গত মৌসুমে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকবেন পেপ গার্দিওলা। তবে এটা স্কিলের লড়াই নয়, স্নায়ুরও লড়াই বটে। তাই পূর্বের স্মৃতি ভুলে শুধু আজকের খেলাটার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন সিটি কোচ।
পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘প্রতিশোধের কথা ভাবাটা হবে অনেক বড় একটি ভুল। আমরা এখানে প্রতিশোধ নিতে আসিনি। যা হওয়ার, হয়ে গেছে। এবার ভালো পারফর্ম করে ভালো ফল নিশ্চিত করে আমরা যেন ম্যানচেস্টার দ্বিতীয় লেগে যেতে পারি।’