দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সম্মেলন কক্ষে ধান-এর নতুন জাত উদ্ভাবনের গল্প বলতে মিলিত হন।
বুধবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে এ সেমিনার শুরু হয়। নেত্রকোনার ব্রিডার কৃষক নয়ন মিয়া ও সৈয়দ আহম্মেদ খান বাচ্চু, মানিকগঞ্জের মনোয়ার হোসাইন, রংপুরের আদিবাসী কৃষক মালতী মিনজি, ময়মনসিংহের আব্দুল বারী, সাতক্ষীরার শেখ সিরাজুল ইসলাম ও দিলীপ তরফদার, রাজশাহীর নূর মোহাম্মদ এবং খুলনার আরুনি সরকার; তাদের এলাকা উপযোগী ধান-এর নতুন জাত ও এই সকল জাত উদ্ভাবনের অভিজ্ঞতা তথ্য তুলে ধরেন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লোকজ-এর আয়োজন এবং মিজরিও-জার্মানীর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিটিতে সভাপতিত্ব করেন, সাংবাদিক-গবেষক, লোকজ-এর সভাপতি গৌরাঙ্গ নন্দী। লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারের স্বাগত বক্তব্য এবং কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সাবেক অধ্যাক্ষ ড. এস এম ফেরদৌস-এর তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ব্রিডার কৃষকদের অভিজ্ঞতার উপর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বক্তৃতা করেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মরিরুল ইসলাম রিপন, প্রফেসর ড. রায়হান আলী, প্রফেসর ড. রেজাউল ইসলাম, প্রফেসর ড. সাঈদা রেহেনা, ডিএই অতিরিক্ত পরিচালক খুলনাঞ্চল মোহন কুমার ঘোষ, ব্রি সাতক্ষীরার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তাহমিদ আনসারি, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন-অর রশিদ, জেলা বীজ প্রত্যায়ণ অফিসার নজরুল ইসলাম, বিনা’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল আক্তার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম আতিয়ার রহমান, বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার রবিউল ইসলামসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে খুলনার শিক্ষাবিদ, কৃষি গবেষক, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন ও সিভিল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ধান-এর নতুন জাত উদ্ভাবনের গল্প অনুষ্ঠানে নেত্রকোনার ব্রিডার কৃষক নয়ন মিয়া ৪টি ও সৈয়দ আহম্মেদ খান বাচ্চু ৪টি, মানিকগঞ্জ-এর মো. মনোয়ার হোসাইন ৩টি, ময়মনসিংহের মো. আব্দুল বারী ২টি, সাতক্ষীরার শেখ সিরাজুল ইসলাম ১টি ও দিলীপ তরফদার ২টি, রংপুরের আদিবাসী কৃষক মালতী মিনজি ১টি, রাজশাহীর নূর মোহাম্মদ প্রায় ২০০টি এবং খুলনার আরুনি সরকার ১০টি উদ্ভাবনের নানা পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান।