নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ত্বকে মেছতার দাগ পড়তে পারে। মেলাসমা বা মেছতা হলো ত্বকের একটি পিগমেন্টেশন ডিসঅর্ডার। যা বেশিরভাগ নারীদেরকেই প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে মুখে কালচে ছোপ বা প্যাচ পড়ে। যা মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট করে দেয়।
মেলাসমা যদিও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয়। তবে গবেষণা বলছে, এটি একজন ব্যক্তির চেহারায় যে পরিবর্তন ঘটায় সে কারণে তার মানসিক সমস্যা ও জীবনযাত্রার মান খারাপ হতে শুরু করে।
মেলাসমা হলো একটি সাধারণ ব্যাধি। বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্থায় মুখে মেছতার দাগের সৃষ্টি হয়। এজন্য মেলাসমাকে ‘গর্ভাবস্থার মুখোশ’। আসলে গর্ভাবস্থার কারণে হরমোনের পরিবর্তন।
একই সঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির মতো হরমোনজনিত বিভিন্ন ওষুধ মেলাসমার অতিরিক্ত ত্বকের রঙ্গক উৎপাদনের প্রধান কারণ। এমনকি অতিরিক্ত সূর্যের আলো ত্বকে লাগলেও মেছতার দাগ পড়তে পারে মুখে।
মেছতা কি প্রতিরোধযোগ্য?
বিভিন্ন কারণে ত্বকে মেছতার দাগ পড়তে পারে। বিশেষ করে জেনেটিক্স, ত্বকের রঙের ধরন, হরমোন বা সূর্যের এক্সপোজার স্তরের কারণে এই অবস্থার বিকাশের ঝুঁকি বেশি। এসব ক্ষেত্রে মেলাসমা সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা যায় না।
তবে মেছতার দাগ হালকা করতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে পিক আওয়ারে (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত) সরাসরি সূর্যের এক্সপোজার এড়িয়ে চলতে হবে।
আর বাইরে বের হওয়ার আগে কিংবা ঘরের ভেতর সূর্যের আলো পড়লেও যাতে ত্বকে সমস্যা না হয়, এজন্য দিনে উচ্চ-এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
সম্ভব হলে হরমোনজনিত ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলতে হবে। আপনার ত্বকে যে কারণেই মেছতা হোক না কেন, এর প্রধান চিকিৎসা পদ্ধতি হলো সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষিত থাকা।
এক্ষেত্রে কোন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত?
গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রড-স্পেকট্রাম টিন্টেড সানস্ক্রিন ও বিশেষ করে আয়রন অক্সাইডযুক্ত সানস্ক্রিন মেলাসমা রোগীদের ত্বকে রঙ্গক উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। তাই সানস্ক্রিন কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেটি আয়রন অক্সাইডযুক্ত কি না।
আপনার ত্বকে যদি মেছতার দাগ পড়ে, তাহলে প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। আপনি যদি ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রেও খেয়াল রাখুন তাতে যেন সান ব্লকার থাকে।
সূত্র: হেলথ.হার্ভার্ড