যুক্তরাজ্যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা দিন দিন আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে, দেশটির রাজধানী শহর লন্ডনে। সেখানে গত বছরের শেষ প্রান্তিকে প্রতি মাসের গড় বাড়িভাড়া বেড়ে রেকর্ড ২ হাজার ৪৮০ পাউন্ডে পৌঁছেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ লাখ ২৬ হাজার টাকার বেশি। ইনার লন্ডনের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ওই এলাকায় মাসিক বাড়িভাড়া ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিন হাজার পাউন্ড বা ৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রাইটমুভের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানের বরাতে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ। খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বার্ষিক বাড়িভাড়া বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে ২০২২ সালে। দেশটির বাড়িওয়ালারা মাসে রেকর্ড ১ হাজার ১৭২ পাউন্ড (১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা প্রায়) ভাড়া দাবি করেছেন।
২০২২ সালে লন্ডনের বাইরে নতুন তালিকাভুক্ত সম্পত্তিগুলোতে গড়ে ভাড়া বেড়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এর আগে, ২০২১ সালে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়িভাড়া বেড়েছিল সেখানে, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ।
ভাড়াটিয়াদের জন্য দুঃসংবাদ আরও রয়েছে। রাইটমুভের ধারণা, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে বাড়িভাড়া আরও অন্তত পাঁচ শতাংশ বাড়তে পারে। মূলত ভাড়াটিয়া এবং খালি থাকা সম্পত্তির সংখ্যায় ভারসাম্যহীনতার কারণে এ বছর দেশটিতে বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এরই মধ্যে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার প্রতিযোগিতা ধীরে ধীরে কমে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। গত ডিসেম্বরে ভাড়ার যোগ্য খালি সম্পত্তির সংখ্যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অন্তত ১৩ শতাংশ বেশি ছিল।
রাইটমুভ’র অন্যতম পরিচালক টিম ব্যানিস্টার বলেন, ভাড়াটিয়াদের মধ্যে বাড়ি খোঁজার তীব্র প্রতিযোগিতা যদিও শিথিল হতে শুরু করেছে, তারপরও এটি ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। বাড়িভাড়ার এজেন্টদের কাছে এখনো প্রচুর মানুষ আসছেন।
লন্ডনভিত্তিক স্বাধীন সম্পত্তি এজেন্ট ডগলাস অ্যান্ড গর্ডনের জেমস রেডিংটন বলেন, সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে অব্যাহত ভারসাম্যহীনতার কারণে ভাড়ার বাজার মন্থর হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।। আমরা কয়েক দশক ধরে সর্বোচ্চ ভাড়া বৃদ্ধি দেখেছি এবং মনে হয় না, এটি অল্প সময়ের মধ্যে কমে যাবে।