বুধবার , ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উদ্যোক্তা
  4. ক্যাম্পাস
  5. খেলাধুলা
  6. নারীমঞ্চ
  7. ফেসবুক থেকে
  8. বিএনপি
  9. বিচিত্র
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিনোদন
  12. মতামত
  13. মুক্ত মতামত
  14. রাজধানী
  15. রাজনীতি

জনগণের তথ্য হাতিয়ে নিতেই বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারের নির্দেশ: মান্না

প্রতিবেদক
Hasan al Sakib Sakib
জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ ১০:৫৯ অপরাহ্ন
জনগণের তথ্য হাতিয়ে নিতেই বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারের নির্দেশ: মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আমদানি করা এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সব অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহার করার নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জনগণের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশেই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে স্বৈরাচার সরকার। বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার না করলেও ইনস্টল করলেই ম্যালওয়্যার ঢুকে যাবে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে বলা হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর নিজের মালিকানার বিজয় কি-বোর্ড তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক এবং বেআইনি। তিনি সরকারের কাছে কত টাকায় এটা বিক্রি করেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি। এভাবে স্মার্টফোনে কোনও অ্যাপ প্রি–ইনস্টল থাকা ব্যবহারকারীর জন্য চরম নিরাপত্তা হুমকি।

সরকার বিজয়ের সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড কোনও ম্যালওয়্যার ফোনে ঢুকিয়ে দিলে তা ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। এভাবে তারা ব্যবহারকারীর সব বিষয়ের ওপর নজরদারি করতে পারবে। ফেসবুকের মত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড এমনকি ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ডের নিয়ন্ত্রণও চলে যেতে পারে তাদের হাতে। বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার না করলেও ইনস্টল করলেই ম্যালওয়্যার ঢুকে যাবে।

সরকার ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নজরদারির প্রযুক্তি কিনছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এক বছর আগে সরকার বিরোধীদের তথ্য হাতিয়ে নিতেই বিজয় ইনস্টল করার নির্দেশ জারি করেছে। এটি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার পরিপন্থী। অবিলম্বে বিটিআরসির বিজয় ইনস্টলের নির্দেশনা বাতিল করার দাবি জানিয়ে মান্না বলেন, কোনও মতলববাজি করে লাভ হবে না। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের দেশের জনগণ যেমন বিশ্বাস করে না, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এই সরকার ঘৃণিত, স্বৈরাচার হিসেবে স্বীকৃত। ২০২৩ সালকে মুক্তির বছর উল্লেখ করে জনগণকে যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি। খবরঃ বিডি২৪

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস