শীতকালে গ্রাম-বাংলায় সরিষার তেল ব্যবহার ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধিপায়। বাতাসের আদ্রতা কমে যাওয়ার ফলে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, আর এই শুষ্কতা থেকে আমাদের পরিত্রাণ দিতে সরিষার তেলের জুড়ি মেলা ভার।
সরিষার তেল আমাদের দেশে খুবই সহজলভ্য। প্রতিবছর শীতে আমাদের দেশে বিভিন্ন জেলায় প্রচুর পরিমাণে চাষ হয় সরিষার। যে কারণে সরিষার তেল আমাদের দেশে সহজলভ্য।
শীতকালে যত্ন না নিলে ত্বক ফেটে যেতে পারে। শীতে ত্বকের যত্নে প্রাচীণ কাল থেকে সরিষার তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। গ্রামাঞ্চলে যারা শীতের বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের ক্রিম কিনতে পারেননা তারা সরিষার তেলই ব্যবহার করেন।
সরিষার তেল শিশু ও বয়স্ক সবার ত্বকের জন্যই উপকারী। বিশেষ করে শীতকালে এই তেল ব্যবহার করলে মৌসুমি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সরিষার তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে খুব ভাল কাজ করে । এই তেলে এমন অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ওমেগা, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ ভরপুর এই তেল। সূর্যের ক্ষতিকর তাপ থেকে সরিষার তেল আমাদের রক্ষা করবে।
শুধু ত্বকে মাখার জন্যই নয়, রান্নায় সয়াবিন তেলের পরিবর্তে সরিষার তেল খুবই উপাদেয়। সয়াবিন তেলের ক্ষতিকর দিক থাকলেও সরিষার তেলে একদমই সেরকম নয়। ভিটামিন ও বিভিন্ন উপকারি উপাদান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
যারা নিয়মিত সর্দি-কাশিতে ভোগেন তারা সরিষার তেলে কালো জিরা মিশিয়ে হালকা গরম করে বুকে-পিঠে মালিশ করলে উপকার পাবেন। অ্যালার্জি এবং ঠাণ্ডা-কাশি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
চামড়ার কালো দাগ দূর করতে এক চামচ বেসনে দই মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণে অল্প সরিষার তেল মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এবার এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিময়িত এই ফেসপ্যাক ব্যবহারে মুখের কালো দাগ দূর হবে, পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বলও হবে।