আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ১২ কোটি মানুষকে কানেক্টিভিটি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবে হুয়াওয়ে। আজ বুধবার প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া ‘২০২২ সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম, কানেক্টিভিটি+: ইনোভেট ফর ইম্প্যাক্ট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে তথ্য প্রযুক্তি কীভাবে কানেক্টিভিটির (যোগাযোগের) ব্যবসায়িক ও সামাজিক অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বকে ত্বরাণ্বিত করতে পারে, সম্মেলনে সে বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
সম্মেলনে মূল বক্তব্যে লিয়াং হুয়া বলেন, ক্লাউড এবং কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো ডিজিটাল প্রযুক্তি মানুষকে ডিজিটাল জগতে আনতে সাহায্য করবে। এর ফলে, আরও সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।
সম্মেলনে জাতিসংঘের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের টেলিকম মন্ত্রী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বেলজিয়াম এবং জার্মানি থেকে অংশীদার ও বিশেষজ্ঞরা সম্মেলনে যোগ দেন।
বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি। টেলিযোগাযোগ খাতের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের মানুষকে কানেক্টিভিটির সুবিধায় নিয়ে আসা। শিক্ষা, শিল্প ও টেক্সটাইলসহ প্রতিটি খাতে কানেক্টিভিটির ভূমিকা অপরিসীম। তাই এটাকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের অংশীজনদের সহযোগিতায় আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবে পরিণত করতে পারবো বলে আশা করছি।
বক্তারা বলেন, ডিজিটাল যুগে স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বিষয়টি মানুষের মৌলিক চাহিদা। যারা সংযোগবিহীন রয়েছেন, তাদের জীবন পরিবর্তনের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হলো কানেক্টিভিটির আওতায় আনা। সুবিধাজনক যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটির কোনো বিকল্প নেই বলে জানান বক্তারা।