প্রবাসীর সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশই। তবে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। যার যৌক্তিকতা দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা। কারণ জানাতে পারলেন না খোদ পরিকল্পনামন্ত্রীও। তবে শিগগিরই প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক হাওয়া লাগার আশায় আছেন তিনি।
করোনার শুরুতে দেশে ফিরেছেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসী। সেই সঙ্গে রেকর্ড হয়েছিল রেমিট্যান্সে। মহামারিতে ফিরে আসা প্রবাসীরা আবারও বিদেশে যেতে শুরু করেন ২০২১ সালে। ওই বছর বিভিন্ন দেশে নতুন করে নিয়োগ পান প্রায় ৭ লাখ শ্রমিক। তবে সে হারে প্রবাসী আয় না বাড়লেও ছিল ইতিবাচক ধারা।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে ছিল প্রবৃদ্ধির হাওয়া। যার পতন ঘটে আগস্টে। পরবর্তী দুই মাসেও অব্যাহত ছিল প্রবাসী আয়ের নেতিবাচক প্রবণতা। অক্টোবরে রেমিট্যান্স আসে ১৫২ কোটি ডলার। মাসের ব্যবধানে কমেছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
রেকর্ড শ্রমিক গমনেরও রেমিট্যান্সে টান পড়ার যৌক্তিকতা দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আপনি আমাকে বললেন, কাকে পাঠাবেন। আপনি বললেন, আমার ভাইকে পাঠাব। ঠিক আছে, কত ডলার পাঠাবেন? বললেন, ২০০ ডলার পাঠাব। আমি আপনাকে তা দিয়ে দিলাম। আমার সামনে বসেই আপনি সরাসরি ট্রান্সফার করলেন। এ কাজটা জেদ্দায় গিয়ে সোনালী ব্যাংকে করতে ৫ দিন সময় লাগে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ১অনেক লোক গিয়েছে, গিয়ে এখনও কাজে যোগদান করতে পারেননি। কেউ খোঁজখবর নিচ্ছে, কিভাবে টাকা পাঠানো যায়। ওপেন ভিসা নিয়ে খোঁজখবর রাখছেন। এ টাকাটা আসতে একটু সময় লাগবে। আমার ধারণা, আগামী মাসে অবস্থার উন্নতি হবে।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রবাসী আয়ে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।