ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কর্মীদের পাসপোর্ট জমা নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রোববার (১৫ অক্টোবর) থেকে দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক জরুরি সভায় এমন ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
সভায় বায়রার সভাপতি মো. আবুল বাসার বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কর্মীদের পাসপোর্ট জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কেউ পাসপোর্ট জমা দেবে না।
তিনি আরও বলেন, শাপলা সেন্টার নামক একটি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। এখানে কারো না কারো কিছু উদ্দেশ্য আছে। না হলে সৌদি দূতাবাসের মাথায় এটা ঢুকতে পারে না। যদি মানুষের জট সংক্রান্ত সমস্যা হয় তাহলে আমাদের বায়রার ওপর ছেড়ে দেন।
বায়রা সভাপতি বলেন, আমরা আপনাদের পছন্দমতো জায়গায় নিজেদের খরচে জায়গা তৈরি করে আমাদের সদস্যদের জন্য কাজটি করতে চাই। এই প্রস্তাব আমরা দূতাবাসের কাউন্সিলরের কাছে দিয়েছি। তিনি কোনো জবাব দেননি। পরে তারা আমলে না নিয়ে সবার কাছে শাপলা সেন্টারের মাধ্যমে পাসপোর্ট জমা নেওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছে।
আবুল বাসার বলেন, সৌদি আরব ভারতে এই একই নিয়ম করতে চেয়েছিল কিন্তু সব রিক্রুটিং মালিক এক হয়ে তাদের কাছ থেকেই পাসপোর্ট নিতে বাধ্য করেছিল। যদি ভারত পারে বাংলাদেশ কেন পারবে না। আমরা কাল থেকে সৌদিআরব দূতাবাসে কোনো পাসপোর্ট জমা দেবো না। যতদিন পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত বাতিল না করে ততদিন আমরা পাসপোর্ট দেবো না।
তিনি বলেন, যদি বায়রার কোনো সদস্য এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছে প্রমাণ মেলে তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, সৌদি দূতাবাসের এক নোটিশে বলা হয়, রোববার (১৫ অক্টোবর) থেকে শাপলা সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মীদের পাসপোর্ট জমা নেওয়া হবে। এদিন থেকে রিক্রুটিং এজেন্টের কাছ থেকে সরাসরি কোনো পাসপোর্ট নেওয়া হবে না।