মদ্যপ অবস্থায় উদ্ধার করে এক তরুণীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই তরুণীর বয়স আনুমানিক (২৫)। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে অসুস্থ অবস্থায় তরুণীকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে রাজধানীর তুরাগ থানা পুলিশ। এরপর চিকিৎসকরা তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)-এ ভর্তি করান। হাসপাতালে ওই নারীর ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর এলাকার রাস্তায় ওই তরুণীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে টঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী বলেন,‘ এই তরুণীকে প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায়।’
তরুণীর ভাষ্যমতে, তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসে পুলিশ। শরিফুল ইসলাম বলেন, টংঙ্গী হাসপাতাল থেকে ৯৯৯ ফোন পেয়ে সেখানে যায় তুরাগ থানা পুলিশ। ওই নারী অভিযোগ করেন, তাকে দুটি ছেলে তুরাগ এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। যেহেতু তুরাগ থানা এলাকার কথা বলা হয়েছে। তাই বিষয়টি তদন্ত আমাদের ওপর পরে।
তিনি বলেন, মেয়েটি সঠিকভাবে কিছুই বলছে না, পাগলামি করছে। তার অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আমরা সেই এলাকার কিছু সিসিটিভির ফুটেজ দেখেছি, সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। আশপাশের আরো ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা সেজন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কি না। পুরো বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।
উদ্ধার তরুণীর বাবা সাভার এলাকায় থাকেন। খবর দেওয়া হলে মেয়েটির বাবা প্রথমে আসতে অনিহা প্রকাশ করেন। তরুণীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে তার মেয়ের বনিবনা নেই। স্বামী তাকে নিযার্তন করে।
পুলিশ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এই তরুণীকে বেশ কিছু দিন আগে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আটক করেছিল। পরে স্বজনরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন।’ পুলিশ জানায়, ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তরুণী ভীষণ চেচামেচি করছেন বলে ওসিসি থেকে জানানো হয়েছে। এরপর তার বাবাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।