ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ছেলের কাছে চাঁদা দাবি করায় মা মরিয়ম খাতুন নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার উপজেলার বিএলকে এলাকার উমেদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ওই নারী কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মকছেদ বিশ্বাসের স্ত্রী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মরিয়মের এক স্বজন বলেন, ‘গত উপজেলা নির্বাচনে সাবেক মেম্বার মান্নানের পক্ষ নিয়ে আমরা দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থীর ভোট করেছি। কিন্তু ওই নির্বাচনে দোয়াত কলমের প্রার্থী শামীম হোসেন মোল্লা পরাজিত হন। তারপর থেকে আমাদের এলাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে বিজয়ী প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর অনুসারী আশরাফুল আলম আশা মেম্বারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ মাসুদ,মোতাহার ও দুলালসহ অনেকে। কয়েকদিন আগে মরিয়ম বেগমের ছেলে মনোয়ার হোসেনের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আশা মেম্বার। তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে খালের ধারে মায়ের নামে থাকা ৩শতক জমি এক লাখ টাকায় বায়না করে ছেলে মনোয়ার। এরপর এক সাথে সমুদ্বয় টাকা দেওয়ার জন্য আশা মেম্বারের লোকজন রাতে তার ছেলে মনোয়ারকে খুজতে থাকে। কোন উপায় না পেয়ে ছেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেসময় ছেলেকে না পেয়ে মা মরিয়ম খাতুনকে গালাগালি করে আশা মেম্বারের লোকজন। বুধবার সন্ধ্যা রাতে তার মা মরিয়ম মেম্বারের লোকজনদের বলেন আমি মরে গেলে তো সব ঝামেলা মিটে যাবে। পরে ক্ষোভে বুধবার ভোররাতে বাড়ির পাশে লিচু গাছে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে আশরাফুল আলম আশার ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিক বার কল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি সরেজমিন তার এলাকায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে শৈলকূপা উপজেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকান্ড যারা করছে তারা কেউই আমার অনুসারী না।’
এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ‘ওই আত্মহত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’