শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeরংপুরনীলফামারীর ডিমলায় ধুমনদীর উপর নির্মিত বক্স কালভার্টটির বেহালদশা

নীলফামারীর ডিমলায় ধুমনদীর উপর নির্মিত বক্স কালভার্টটির বেহালদশা

মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ-  নীলফামারীর ডিমলায় ধুম-নদীর উপর নির্মিত বক্স কালভার্টটির বেহালদশা। সরে জমিনে দেখা যায়, উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে ধুমনদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বক্স কালভার্টটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সর্বস্তরের জনগন । বক্স কালভার্টটির দুই পাশ ধ্বসে গেছে ।

এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে এটি আর পূর্ণসংস্কার করা সম্ভব নয়। কালভার্টটির এক পাশে খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডালিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ডালিয়া শিশু নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল-মদিনা মডেল মাদ্রাসা, গোডাউনের হাট, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়া নতুন বাজার, ডালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অপর দিকে কাকিনা, ছোটখাতাসহ আরো কয়েকটি গ্রাম। এলাকাবাসীর দাবী আর বক্স কালভার্ট নয়, নতুন করে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হোক সেখানে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পার্শ্বে ধুম-নদীর ওপর নির্মিত এই কালভার্টটি এখন পথচারীদের জন্য মরণফাঁদ। পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়।

ইউপি সদস্য নওশাদ আলী বলেন, গত কয়েক বছর পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া অপরিকল্পিত ভাবে নদীটি খনন করেন। ফলে এই বক্স কালভার্টটি সহ আরো কয়েকটি ব্রীজ দুই দিকে ধ্বসে পড়ে। এত দীর্ঘ সময়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা এলজিইডি এটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। ভারী যানবাহন যাতায়াত করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

কালভার্ট সংলগ্ন ছ-মিলের কর্মচারী এরশাদ, ছালাম বলেন, ওই কালভার্টের উপর দিয়ে আমরা নিয়মিত যাতায়াত করি। কালভার্টের দুই পাশ ধ্বসে যাওয়ায় যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

ডালিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র পরিমল চক্রবর্তী বলেন, অটোবাইকে অথবা ভ্যান গাড়ীতে চড়ে আমরা ভয়ে ভয়ে কালভার্টটি পার হয়ে স্কুলে যাই। অনেক সময় ভ্যান যেতে চায় না তাই হেঁটেও যেতে হয়।

খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, গোডাউনের হাট, কাকিনা, জরিনার বাজার, ডালিয়া নতুন বাজারসহ অত্যন্ত ১০/১২ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এসব গ্রামের হাজারও মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি ভেঙ্গে নতুন একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী ইউনিয়ন বাসির । এ নিয়ে উপজেলায় মাসিক উন্নয়ন সভায় একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল ইসলাম বলেন, ধুম-নদীর ওই জায়গায় ব্রীজ নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করি চলতি অর্থবছরে কালভার্টটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজের কাজ শুরু করতে পারব।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন