পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭৯৩) লাইনচ্যুতির ঘটনায় দীর্ঘ সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। উদ্ধারকাজ শেষে ট্রেন চলাচল আবারও শুরু হলেও প্রতিটি ট্রেন দীর্ঘ বিলম্ব নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আবার ট্রেন চলাচল করতে শুরু করেছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন সিডিউল বোর্ডের সকাল সাড়ে ৯টার আপডেটে দেখা যায়, ঢাকা থেকে দিনের প্রথম ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ভোর ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। দ্বিতীয় ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে। পারাবত এক্সপ্রেস ভোর সাড়ে ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে। নীলসাগর এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টায়। মহানগর প্রভাতী সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টা।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে গেছে। ট্রেনটি ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৭টা। এ ছাড়া তিস্তা ও এগারসিন্ধুও ঢাকা ছেড়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ট্রেন লাইনচ্যুতির উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া আপডাউন লাইন দুটিই ঠিক হয়েছে। কিন্তু পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের কোচগুলো উদ্ধার করে রাখার কারণে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের লাইন বন্ধ আছে। অতিদ্রুত লাইনগুলো ক্লিয়ার করার চেষ্টা চলছে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো ছাড়া যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত ৩টি ট্রেন ঢাকা ছেড়েছে।
এর আগে গত রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭৯৩)। রেললাইন ভেঙে যাওয়ার কারণে ট্রেনের ৬টি বগি লাইন থেকে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনটি সাধারণ সময়ের প্রায় আধা ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ে। প্ল্যাটফর্ম পার হওয়ার ২ মিনিটের মধ্যে ঝাঁকুনি অনুভব হয় এবং ট্রেনটি থামানো হয়। পরে নেমে দেখা যায় ট্রেনের বিভিন্ন কোচের মোট ৬টির মতো বগি লাইনচ্যুত হয়। দেখা গেছে লাইনের পাত ভেঙে গেছে। পরে চাকাগুলো নিচে পড়ে যায়। ট্রেনের গতি কম ছিল বলে কেউ আহত হয়নি।