শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeজাতীয়সিসাকের সঙ্গে যুক্ত হলো বিএলসিপিএস

সিসাকের সঙ্গে যুক্ত হলো বিএলসিপিএস

বিশ্বব্যাপী মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত বিষয়াদি ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত সংস্থাসমূহের আন্তর্জাতিক কনফেডারেশন সিসাক এর সঙ্গে যুক্ত হলো বাংলাদেশ লিরিসিস্টস, কম্পোজার্স অ্যান্ড পারফর্মার্স সোসাইটি (বিএলসিপিএস)। তাদের আয়োজনে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে একটি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেশের খ্যাতনামা সব সংগীতশিল্পী, গীতিকার, মিউজিশিয়ান, কম্পোজাররা উপস্থিত ছিলেন।

নিজেদের প্রাপ্য অধিকারের বিষয়ে তারা আরেকবার একসঙ্গে কন্ঠ ছেড়েছেন। কনফারেন্সে দেশের সংগীতাঙ্গনের মানুষেরা কিভাবে সিসাকের সঙ্গে যুক্ত হবেন, কাজ করার রূপরেখা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কিভাবে হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার দাউদ মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিসাকের সম্মানিত উপদেষ্টা সাতোশি ওয়াতানাবে। বক্তব্য রাখেন বিএলসিপিএস এর সিইও সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেশবরেণ্য সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএলসিপিএসের ট্রাস্টি সংগীতশিল্পী সুজিত মোস্তফা এবং সংগঠনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ব্যরিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন।

সাতোশি ওয়াতানাবে বলেন, আমরা সংগীতের মেধাসত্ত্ব সংগ্রহ করে শিল্পীদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেই। বিএলসিপিএস সংগীতের একটি নতুন সংগঠন। তাদের সহযোগিতার জন্য আমি এখানে এসেছি। বিএলসিপিএস এখন সিসাকের সদস্য। সিসাকের সদস্য হওয়ার বাংলা সংগীত এখন বিশ্বে স্বীকৃত।

শেখ সাদী খান বলেন, মেধাসত্ত্ব আইনে শিল্পী, গীতিকারসহ সবার আইনগতভাবে প্রাপ্য পাওয়ার উচিত কিন্তু সেটি হচ্ছে না। কারণ আমরা সঠিকভাবে পথ এগুতে পারছিলাম না। কিন্তু এখন আমরা সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দীর্ঘ এই সমস্যাটির সমাধান এবার হবে।

সংগীতশিল্পী মাকসুদুল হক বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে সারাবিশ্ব ও প্রতিটি দেশে একটি করে সিএমও বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন হয়। বাংলাদেশে বিএলসিপিএস তার প্রতিনিধি। আমাদের এই কার্যক্রম শিল্পীদেও স্বার্থ রক্ষা করার জন্য।

সুজিত মোস্তফা বলেন, সিসাকের মাধ্যমে সারাবিশ্বের সিএমওগুলো শিল্পী স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে। সেভাবে বাংলাদেশের সিএমও বিএলসিপিএসকেও তারা সহযোগিতা দিচ্ছে।

সংগীতশিল্পী শেখ মনিরুল আলম টিপু বলেন, সিসাকের মাধ্যমে শিল্পীরা তাদের মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণ করতে পারেন। তাদের যথাযথ রয়্যালিটি সংগ্রহ করতে পারে দেশ বিদেশের সব জায়গা থেকে। যেটি অতীতে হতো না। সেই কার্যক্রমগুলো এখন আমরা শুরু করবো আমাদের দেশের সিএমও বিএলসিপিএস এর মাধ্যমে।

বিএলসিপিএসের এই কার্যক্রমের শুরু থেকে শিল্পীদের প্রাপ্য রয়্যালিটি এবং অধিকারের বিষয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন দেশবরেণ্য প্রয়াত সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী এবং প্রয়াত কিংবদন্তী শিল্পী এ্যান্ড্রু কিশোর। এই অনুষ্ঠানে তাদের দুইজনকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশের সংগীতের জনপ্রিয় তারকারা উপস্থিত ছিলেন।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন