শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeসারা বাংলারংপুর প্রেসক্লাবে শোক দিবসে আলোচনা সভা

রংপুর প্রেসক্লাবে শোক দিবসে আলোচনা সভা

বঙ্গবন্ধু, বাঙালি, বাংলাদেশ- এই শব্দ তিনটি একই সুতোয় গাঁথা। বাঙালি জাতির এক মহানায়কের নাম বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘ সংগ্রাম, আন্দোলন আর সাহসী নেতৃত্বে তিনি বাঙালি জাতিকে সুসংগঠিত করেছিলেন। সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে পাকিস্তানিদের বুট, বুলেট আর পাশবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুক্তির রণাঙ্গনে- রণক্ষেত্রে বিজয়ের ঝান্ডা উড়িয়েছে বাঙালি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকুতোভয় উচ্চারণ, বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় জাতি পেয়েছে ভাষা, মানচিত্র, আত্মপরিচয় এবং স্বতন্ত্র একটি ভূখন্ড। লাল সবুজের পতাকা মানেই বঙ্গবন্ধু, বাঙালি, বাংলাদেশ।’

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রংপুর প্রেসক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, রংপুর বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম। সভাপতি করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোনাব্বর হোসেন মনা।

অতিথিরা বলেন, টুঙ্গিপাড়ার মতো অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসা এক তরুণ কীভাবে ঐক্য গড়ে তুলে পরাভূত, নিষ্পেষিত, নিপীড়িত এক জাতিকে তুলে এনে আমাদের স্বাধীনতা উপহার দিলেন। তিনিই আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। আমাদের তার জীবনী থেকে শিক্ষা নিতে হবে। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এমন মহান নেতা হয়তো হাজার বছরেও আরেকজন আসবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা ও স্বপ্নকে আকঁড়ে ধরে তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে, কোনো ষড়যন্ত্র করে দেশের মানুষকে আর পেছনে ফেলানো যাবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলী, কোষাধ্যক্ষ একেএম শরিফুজ্জামান বুলু, দপ্তর ও যোগাযোগ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুর রউফ সরকার, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাভেদ ইকবাল, দৈনিক সময়ের আলোর রংপুর ব্যুরো সাইফুল ইসলাম, দৈনিক সংবাদ সারাবেলার রংপুর ব্যুরো প্রধান কামরুল হাসান টিটু, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ’র স্টাফ রিপোর্টার এহসানুল হক সুমন প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান ফারুক।

এসময় সাংবাদিক নেতারা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ রাষ্ট্রেরই যিনি স্থপতি, সংবাদপত্র জগত তার একটি অঙ্গ এবং এই অঙ্গের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য তিনি যে অবদান রেখেছিলেন তা এই ক্ষুদ্র পরিসরের আলোচনায় তুলে ধরা অসম্ভব। বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির অন্য সকল অর্জনের মতো সংবাদপত্র জগতের অর্জনও বঙ্গবন্ধুর রক্তের কাছে চিরঋণী। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বলেই এদেশের সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম জগত আজকের অবস্থানে পৌঁছুতে সক্ষম হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু, সাংবাদিক ও ছড়াকার জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম সম্পাদক আবু নাসের বাপি, ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির জিতু, কার্যনির্বাহী সদস্য সাব্বির আরিফ মোস্তফা পিয়াল, সদস্য আবেদুল হাফিজ, রাজু আহম্মেদ, প্রেসক্লাব বিপণী বিতান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রুস্তম আলী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক যুগের আলোর স্টাফ ফটোসাংবাদিক ইমরোজ ইমু, সিএনবির বিশেষ প্রতিবেদক একেএম সুমন মিয়া, মানবজমিনের ফটোসাংবাদিক নোবেল চৌধুরী প্রমুখ।

এদিন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রংপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, ব্যাজধারণ, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র ্যালি, কোরআন খতম, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন