কুমিল্লায় ভুল অপারেশনে নবজাকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে ‘কুমিল্লা তিতাস মেডিকেল সেন্টার’র কথিত চিকিৎসক তাসলিমা রিজভী লাইলী বিরুদ্ধে। এতে নবাজাতের মায়ের জীবনও সঙ্কটাপন্ন বলে অভিযোগে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি দেবিদ্বার উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার।
এর আগে বুধবার (৯ আগস্ট) ভুক্তভোগীর স্বামী অভিযোগ দাখিল করেছিলেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সোমবার (৭ আগস্ট) প্রসূতি সাবিনা ইয়াসমিন বিথির প্রসববেদনা উঠলে তাকে নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার কুমিল্লা তিতাস মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন গাইনি চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া তাসলিমা রিজভী লাইলী ও তার সহযোগীসহ পাঁচ জন মিলে ওই হাসপাতালে প্রথমে প্রসুতির সিজার অপারেশন করেন, এতে প্রসূতির গর্ভের সন্তান মারা যায়। একপর্যায়ে তার পেটে বড়ো দুইটি টিউমার আছে বলে তারা আরও একটি অপারেশন করেন। এতে ১৬ ব্যাগ রক্ত দিয়েও ভুক্তভোগী বিথির রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি।
এ অবস্থায় বিকেলে দিকে স্বজনরা প্রসূতিকে দেখতে চাইলে তাসলিমা রিজভী লাইলীসহ সংশ্লিষ্টরা তাদের ওটিতে ঢুকতে দেয়নি। একপর্যায়ে বিথির স্বামী জোরপূর্বক ওটিতে ঢুকে কথিত চিকিৎসক লাইলীসহ পাঁচ জনকে অপারেশন থিয়েটারে দেখতে পান এবং তারা জানায়, বিথির অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। এতে তাদের পরামর্শে তাকে নগরীর অপর একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগীর স্বামী মোশারফ হোসেন জানান, প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে আইনের আশ্রয়ও নেবো।
অভিযুক্ত কুমিল্লা তিতাস মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, এ বিষয়ে সিভিল সার্জন তদন্ত কমিটি করেছেন। আমরা তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দেব, এখন কিছু বলবো না।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, বুধবার ভুক্তভোগীর নারীর স্বামীর অভিযোগ করেছেন। তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান মহসিন আবেদীন কলিকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদেন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযোগে উল্লেখিত ওই চিকিৎসককে আমি চিনি না। তবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর বিস্তারিত বলা যাবে।