রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeজাতীয়কার্যকর হলো ড. তাহেরের ২ হত্যাকারীর ফাঁসি

কার্যকর হলো ড. তাহেরের ২ হত্যাকারীর ফাঁসি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টা ১ মিনিটে রাজশাহী কারাগারে একসঙ্গে দুজনেরই ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এর আগে, রাত ৯টার দিকে ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি জানানো হয় দুই আসামি।

ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন কারাগারের ডিআইজি প্রিজন, সিনিয়র জেল সুপার ও জেলার ছাড়াও জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, এই ফাসি কার্যকর করার জন্য মোট ৮জন জল্লাদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিলো। এর আগে, গত ২৫ জুলাই দুই আসামির সাথে শেষ সাক্ষাৎ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। ওইদিন জাহাঙ্গীরের পরিবারের ৪০ সদস্য তার সাথে দেখা করেন। আর মহিউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন স্ত্রীসহ তার পরিবারের চার সদস্য।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ। দুইদিন পর তার বাসার পেছনের একটি ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় তার গলিত মরদেহ। ওই রাতেই মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত অধ্যাপকের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ।

এরপর, তদন্ত সাপেক্ষে নিহত অধ্যাপক তাহেরের সহকর্মী সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমসহ আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক এ মামলার চারজন আসামিকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের সহকর্মী রাবি’র সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম, তার ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালাম। তবে বিচারে খালাস পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও জাহাঙ্গীরের বাবা আজিমুদ্দিন মুন্সি।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন