রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeসারা বাংলা৩ লাখ ২০ হাজার চামড়া সংগ্রহ হলো চট্টগ্রামে

৩ লাখ ২০ হাজার চামড়া সংগ্রহ হলো চট্টগ্রামে

চট্টগ্রামে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ করতে পারেননি আড়তদারেরা। চার লাখ কোরবানির কাঁচা চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি থাকলেও রোববার (২ জুলাই) পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু-মহিষের চামড়া ২ লাখ ৫৫ হাজার, বাকিগুলো ছাগল ও ভেড়ার।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন  বলেন, এবার গরুর দাম ছিল বেশি। অনেকেই একাধিক গরু কোরবানি দিতেন। এখন দুই- তিনজন মিলে একটি গরু কোরবানি দিয়েছেন। এ জন্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় নি। এবছর চার লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু গরু, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে ৩ লাখ ২০ হাজারের মতো চামড়া সংগ্রহ হয়েছে।

এদিকে, নগরের মুরাদপুরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার মাঠে সংরক্ষণ করা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার চামড়া। এসব চামড়া সংগ্রহ করেছে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ও গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। এছাড়া আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় (হাটহাজারী মাদ্রাসা) সাড়ে ৫ হাজার চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে।

গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, এবার দেড় লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে মাত্র এক লাখ চামড়া। কোরবানি কম হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চামড়া পাওয়া যায়নি। আমাদের চামড়া কিনতে হয়নি। কোরবানিদাতারা বিনামূল্যে চামড়া আমাদের কাছে দিয়ে গেছেন। আমরা শুধু সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরও বলেন, অতীতে চামড়া ব্যবসা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল। এতে মৌসুমি চামড়া সংগ্রহকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত কয়েক বছর আগে চামড়ার দাম না পেয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে দেখা যায়। এবছর এই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মুফতি জসিম উদ্দিন  বলেন, আমাদের যে পরিমাণ চামড়া সংগ্রহ হয়েছে তা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনো ক্রেতা যোগাযোগ করেনি। চামড়া বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ মাদ্রাসার অসহায় দুস্থ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে।

মৌসুমি চামড়া সংগ্রহকারীরা জানান, এবার বড় গরুর চামড়া ৪৫০-৬০০ টাকা, মাঝারি গরুর চামড়া ৩৫০-৪০০ টাকায় কিনে আড়তে বিক্রি করেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে এবছর ৮ লাখ ৭৪ হাজার পশু কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যার মধ্যে গরু ৫ লাখ ২৬ হাজার ৩২৫টি, মহিষ ৭১ হাজার ৩৩৩টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ কম কোরবানি হয়েছে বলে ধারণা করছি।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন