রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeসারা বাংলাখুলনায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

খুলনায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

খুলনায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের পালটাপালটি ধাওয়ায় বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আটক হয়েছেন নয়জন।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে পুলিশের দাবি, অনুমতি না নিয়ে এবং রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে নিষেধ করায় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পালটাপালটি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ৬২ রাউন্ড রাবার বুলেট ও পাঁচ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়।

বিএনপি নেতারা জানান, শুক্রবার সকালে খুলনা প্রেস ক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সোনাডাঙ্গা থানার সম্মেলন হয়েছে। বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মনা, জেলার আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, নগরের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন, জেলার সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রমুখ।

প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে সমাবেশ শুরু হওয়ার পরপরই রাস্তায় থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এমনকি তারা টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটও নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে নয়জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। যাদের মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান, যুবদলের সালাউদ্দিন রয়েছেন। আহত শতাধিক নেতাকর্মীকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মনা যুগান্তরকে বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কেন্দ্রীয় সমাবেশে হামলা করেছে। আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে গুরুতর রয়েছেন ১৫-২০ জন। আটক করা হয়েছে ১০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বিএনপি কোনো অনুমতি না নিয়েই সমাবেশ করছিল। এমনকি তারা রাস্তা আটকে জনসাধারণের ক্ষতিসাধন করে কর্মসূচি করছিল। আমরা তাদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করলেও তারা শোনেনি। তাদের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের ১১ জন সদস্য আহত হন।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন