রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeকোন দেশের কতগুলো পারমাণবিক সাবমেরিন আছে

কোন দেশের কতগুলো পারমাণবিক সাবমেরিন আছে

বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ও শক্তিশালী নৌযান হিসেবে বিবেচনা করা হয় পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজকে (সাবমেরিন)। কারণ ডুবোজাহাজগুলোর রয়েছে উচ্চ গতি ও শত্রু দেশের নজর এড়িয়ে গোপনে যাতায়াত করার ক্ষমতা। পাশাপাশি জ্বালানি ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে ডুবে থাকতে পারে সাবমেরিনগুলো। বর্তমানে বিশ্বের ছয়টি দেশের নৌবাহিনীর কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ভারত। এ তালিকায় সপ্তম স্থানে নাম লেখাতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। জানা যায়, শিগগিরই অস্ট্রেলিয়া নিজেদের হাতে পেতে চলেছেন পারমাণবিক সাবমেরিন।

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চুক্তি হয়েছে। আর সেই চুক্তির ভিত্তিতেই পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ পেতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া।

কোন দেশের কাছে কতগুলো সাবমেরিন রয়েছে-

বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নৌসেনার কাছে মোট ৬৭টি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে।

এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ রাশিয়া। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ায় মোট ৩১টি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি নিজেদের নৌশক্তি বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পুতিনের দেশ। আর সেই কারণেই তারা ডুবোজাহাজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। বর্তমানে পারমাণবিক ডুবোজাহাজের সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীন। দেশটির নৌবাহিনীতে পরমাণুশক্তিতে চলা ডুবোজাহাজের সংখ্যা ১২। ১০টি পারমাণবিক সাবমেরিন নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।

ফ্রান্সের কাছে রয়েছে মোট ৯টি পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ। অর্থাৎ এই দিক থেকেই যুক্তরাজ্যের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে দেশটি। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হয়েও তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটির কাছে মাত্র একটি পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ রয়েছে।

ভারতের নৌবাহিনী সাবমেরিন সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়। ভারতের পর এ তালিকায় আর কোনো দেশ নেই।

সব ঠিক থাকলে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সঙ্গে করা চুক্তির কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হাতে পাঁচটি সাবমেরিন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সামরিক অস্ত্রের ইতিহাসে বিবর্তন আসার পর থেকে বিশ্বের সব দেশ নিজেদের শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। জলপথে শত্রুদের ঠেকাতে নৌশক্তি বৃদ্ধি করার দিকেও মন দিয়েছে অনেক দেশ। আর সেই শক্তি বাড়াতেই একের পর এক পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজের সংখ্যা বাড়াচ্ছে দেশগুলো।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন