রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন দলের ভোটাররা লাঙ্গল মার্কায় ভোট দেবে বলে আশা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ‘দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে ভোট চেয়েছি। আমি যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি তখন সব দলকে সমান গুরুত্ব দিয়েছি। দলমত নির্বিশেষে একটা বিশাল পারসেন্টেন্স আমি পাব’ বলছিলেন তিনি।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রচার-প্রচারণার ১৬তম দিনে প্রেসক্লাব এলাকায় গণসংযোগ কালে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘মেয়রের চেয়ার একদম নিরপেক্ষ। বিগত সময়ে এই চেয়ারে বসে দল বাজি হলেও আমি কোন দল বাজি করিনি এ কারণে দলমত নির্বিশেষে সকলের ভোট আমি প্রত্যাশা করছি। এবং আশা করছি ইনশাআল্লাহ অনেক দলেরই একটা বিশাল পারসেন্টেন্স আমি পাব,এটা আমার প্রত্যাশা’।
এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি এই ভোটে অংশগ্রহণ না করায় এবং জামায়াতের প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও পরে দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে এসেছে । বিএনপি জোটের প্রার্থী না থাকায় তাদের ভোট লাঙলে পড়বে বলেও জানান তিনি।
সদ্য বিদায়ী এই মেয়র বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে পরশুদিন কথা হয়েছে এবং আজকেও কথা বলব । যাতে রংপুরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন হয় সেজন্য তাদেরকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনে অনুরোধ জানাবো। কোন ধরনের সংঘাত ছাড়াই যেন একটি শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য সকল প্রার্থীকে আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির,সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন,সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জেলা জাপার সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক,নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আইন সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ ফারুক আলম,জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসানুজ্জামান নাজিম,মহানগর ছাত্রসমাজের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত আসিফসহ জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এতে মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩১টি ওয়ার্ডের ২২৯ টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে ইভিএম মেশিনে এবং ভোটকেন্দ্র গুলো থাকবে সিসিটিভির আওতায়।