হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়ে এক রায়ে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, এখন থেকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের সাতটি তথ্য সংবলিত হলফনামা আকারে দাখিল করতে হবে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির এক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধতা ঘোষণার রায়ে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন পর্যবেক্ষণ দেন।
আদালতে ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম ও অ্যাডভোকেট মো. জাহেদ উল আনোয়ার রিটের পক্ষে শুনানি করেন। মো. জাহেদ উল আনোয়ার বলেন, আমি ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বক্তপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুকুল আজমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে রিট করি। এ রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট একই বছরের ৩১ অক্টোবর ফারুকুল আজমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ওই আদেশের বিরুদ্ধে আরেক প্রার্থী আপিল করেছেন। শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। পরে আপিল বিভাগ গত ৬ মার্চ রুলটি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করে ফারুকুল আজমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, অন্যান্য নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সাতটি তথ্য সম্বলিত হলফনামা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হলফনামা দেওয়া হয় না। যদিও ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯-এর ২৬(৩)-এ হলফনামা দেওয়ার কথ বলা আছে। অথচ ২০১০ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিতে শুধুমাত্র প্রত্যায়নপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হলফনামা দেওয়ার কথা নেই।
হাইকোর্ট বলেছেন, যেহেতু বিধিমালার ওপরে আইন প্রাধান্য পাবে, সে কারণে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রার্থীদের হলফনামা দাখিল করতে হবে। এরপর থেকে সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলাদা ফরমে হলফনামার তথ্য দাখিল করতে হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।