ভারতে পলাতক অবস্থায় দেশটির ইডির হাতে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে সোয়া ৪০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং কানাডায় অর্থপাচার মামলার বিচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মামলার আসামিদের মধ্যে গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার ভারতের কারাগারে বন্দি। তিনিসহ ১০ জনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার কার্যক্রম চলছে।
মামলার অন্য ৯ আসামি হলেন—পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
পি কে হালদারের সহযোগীদের মধ্যে কারাগারে থাকা বাকি চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারি, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
বিচারক তাদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এছাড়া সুকুমার ও অনিন্দিতার জামিন আবেদনও নাকচ করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে ও বিভিন্ন কোম্পানির নামে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেন। এই টাকা আর ফেরত না আসায় ওই চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। প্রতিষ্ঠান চারটি হলো—ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ নেওয়ার আগে শেয়ার কিনে পি কে এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই আর্থিক কেলেঙ্কারি জানাজানি হয় ২০২০ সালের শুরুতে। আর তিনি দেশ ছাড়েন ২০১৯ সালের শেষ দিকে। পলাতক অবস্থায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক।