ভারতশাসিত জম্মু কাশ্মীরে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। কৌশলগত একটি টানেল প্রজেক্টে এ হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলার গগনগিরে একটি নির্মাণ প্রকল্পে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। এ সময় ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক ও একজন চিকিৎসক নিহত হন।
সোমবার ভারতীয় পুলিশ এ ঘটনায় স্থানীয় বিদ্রোহীদের অভিযুক্ত এটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করেছে। সোনামার্গের রিসোর্ট শহরের কাছে গগনগিরে নির্মাণ শ্রমিকদের একটি ক্যাম্পে এ হামলা চালানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাতে কমপক্ষে দুজন হামলাকারী নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এ ছাড়া এ ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে আরও পাঁচজন মারা যান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রমিকরা কাজ শেষে ক্যাম্পে ফেরার পরপরই হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন অভিবাসী শ্রমিক ও কর্মকর্তা, একজন কাশ্মীরি কর্মী এবং একজন কাশ্মীরি চিকিৎসক রয়েছেন। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে জঘন্য ও কাপুরুষিত হামলা বলে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, যারা দায়ী তাদের কঠোর জবাবের মুখোমুখি হতে হবে।
ভারতের কৌশলগত এ টানেল প্রকল্পে শত শত শ্রমিক কাজ করছেন। যাদের বেশিরভাগ ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। এটি কাশ্মীর উপত্যকাকে লাদাখের সঙ্গে সংযুক্ত করব।এলাকাটি তুষারপাতের কারণে বছরের অর্ধেকের বেশি সময় বিচ্ছিন্ন থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানেল প্রকল্পটি সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা লাদাখে কাজ করার জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত ক্ষমতা অর্জন করবে।