হাসনাত তুহিন ফেনী প্রতিনিধি:-
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা- ২০২৪ উপলক্ষে সোনাগাজী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সহ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ২৩টি পূজা মন্ডপের পরিচালনা কমিটির সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সোনাগাজী উপজেলার উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভা সঞ্চলনা করেন পূজা উদযাপন পরিষদদের যুগ্ম সম্পাদক পলাশ বাবু, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ এস এম বদরুদ্দোজা। উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর সহকারী সেক্রেটারি,সোনাগাজী -দাঁগনভূঞা উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা: ফখরুদ্দিন মানিক, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য ও ফেনী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান, জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফখরুদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মানিক চন্দ্র শর্মা,
সোনাগাজী পৌরসভা ঐক্য পরিষদ সভাপতি বাবু শুকলাল দেবনাথ,
সোনাগাজী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু সমর দাস।
মতবিনিময় সভায় ডা. মানিক বলেন -সোনাগাজীতে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের ঠাই নাই।আপনারা কাউকে চাঁদা দিবেন না।আপনাদের জায়গা জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেউ দখল করলে আমাদেরকে জানাবেন। জামায়াতের ওয়ার্ড ইউনিয়ন দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে জানাবেন আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।আপনাদের পারিবারিক, সামাজিক অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিবেন,আমরা আপনাদের ডাকে হাজির হব। আপনাদের সুখে -দুঃখে আমরা আপনাদের ভাই, প্রতিবেশী হিসেবে পাশে ছিলাম এবং সব সময় থাকবো ইনশাআল্লাহ।
জেলা সেক্রেটারি মুফতি আবদুল হান্নান বলেন –
আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে জামায়াতকে পাশে পাবেন । আমরা সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াবো।ফেনীতে বন্যার সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সহায়তাকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি। ভবিষ্যতেও আমরা বিপদে আপদে হিন্দু মুসলমান ভেদাভেদ করবনা।জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক, সবাই বাংলাদেশী এটাই আমাদের পরিচয়। সংখ্যা লঘু বলে আমরা কোন শব্দ আপনাদের সাথে যোগ করতে চাই না।
মতবিনিময় সভায় আসন্ন দূর্গা পূজায় বিশেষ সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যদেরকে।
এডভোকেট মানিক চন্দ্র শর্মা বলেন-ফেনী জেলায়
হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে ৫-ই আগষ্টের পর থেকে জামায়াতে ইসলামী যে ভূমিকা রেখেছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মতবিনিময় সভার যে আয়োজন করা হয়েছে তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যা অতীতে কেউ উদ্যোগ নেয়নি।।
মতবিনিময় সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২৩ টি পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যগন,জামায়াতের উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়ন আমীরগন উপস্থিত ছিলেন।