শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeসারা বাংলারংপুরে সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে হত্যা করা হয় সুদের কারবারী ভোদলকে

রংপুরে সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে হত্যা করা হয় সুদের কারবারী ভোদলকে

সুদের টাকার লেনদেনের বিরোধিতার কারণে সুদের কারবারী মোকতারুল ইসলাম ভোদলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার সাথে জড়িত পরিকল্পনাকারী দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত ভোদল মিঠাপুকুর উপজেলার অভিরাম নুরপুর গ্রামের  কলম উদ্দিনের ছেল।
রোববার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। গেফতারকৃতরা হলেন, মিঠাপুকুর উপজেলার ৩নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরাম নুরপুরের হান্নান মিয়ার পুত্র তহিদুল ইসলাম (৩৬) এবং একই এলাকার মিজানুর রহমানের পুত্র আল আমিন মিয়া (৩৭)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নিহত মোকতারুল ইসলাম ভোদল (২৬) নিজের পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে জায়গীরহাটের উদ্দেশ্যে বের হয়। রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তার ভাই আকতার ইসলাম ভুক্তভোগির মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ না হওয়ায় তাকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বলদিপুকর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে মোকতারুল ইসলাম ভোদলের জবাইকৃত মরদেহ দেখতে পান। জবাইয়ের পূর্বে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম করা হয়। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় নিহতের মা কল্পনা বেগম বাদী হয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।
এদিকে ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড মনে হওয়ায় মিঠাপুকুর থানা পুলিশের একাধিক টিম গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি টিভি ফুটেজ থেকে মোকতারুল ইসলাম ভোদল হত্যার পরিকল্পনাকারী তহিদুল ইসলাম ও আল আমিন মিয়া কে ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের তথ্যমতে ঘটনার সময় চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, সুদের টাকার লেনদেন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন