যশোরের মণিরামপুরে চতুর্থ স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার পর স্বামী উজির আলীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে উদ্ধার করে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত উজির আলী মণিরামপুর উপজেলার বালিধা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় ভ্যানচালক উজির আলী চতুর্থ স্ত্রী রোজিনা খাতুন ও প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে নেহালপুর ঝাউতলা গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। হত্যাচেষ্টা ও আত্মহত্যার ঘটনা সেখানেই ঘটে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ধারালো দা দিয়ে রোজিনা খাতুনের গলায় আঘাত করেন উজির আলী। এসময় ছেলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে উজির আলী পালিয়ে যান। স্থানীয়রা রোজিনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিবেশীরা উজির আলীকে বাড়ির পাশের কাছে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ উজির আলীর মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।