রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeসারা বাংলাশিশু আহনাফকে বাঁচাতে দিশেহারা বাবা-মায়ের আকুতি

শিশু আহনাফকে বাঁচাতে দিশেহারা বাবা-মায়ের আকুতি

যে সময়ে সহপাঠীদের সাথে ছুটোছুটি আর স্কুলে যাওয়ার কথা, তখন সে শুয়ে রয়েছে হাসপাতালের বিছানায়। ছয় বছরের শিশু আহনাফ। তার ছোট্ট শরীর জুড়ে রয়েছে চিকিৎসার নানারকম যন্ত্রপাতি। কি যে কষ্ট ছোট্ট শরীরটায়। আহনাফ সুস্থ হয়ে বাঁচতে চায়। অন্য শিশুদের মত সে আবার স্কুলে যেতে চায়। মা-বাবার আদরে বড় হয়ে পৃথিবী দেখতে চায়।

মাহিউর রহমান আহনাফ জন্ম থেকেই থ্যালাসেমিয়া মেজর নামক রোগে আক্রান্ত। তাকে সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টায় নিজেদের সবটুকু নিঃশেষ করে দিয়েছেন মা-বাবা।

আহনাফের বাবা শামসুল আলম বাবু। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত আছেন। তার একমাত্র পুত্র সন্তান আহনাফ, প্রায় সাত বছর। তার বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে ভারতে। প্রায় এক বছর যাবত শামসুল আলম সন্তানের চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছেন।

এ পর্যন্ত আহনাফের চিকিৎসায় ৮৫ লাখ টাকার অধিক খরচ করেছেন তিনি। ছেলের চিকিৎসার জন্য তিনি তার সহায় সম্বল পুরোটাই শেষ করে দিয়েছেন। শিশুটির চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু অসহায় বাবা, তার একার পক্ষে এখন আর অর্থের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেও আশঙ্কামুক্ত নয় আহনাফ, দরকার আরও ৩০ লাখ।

শিশু আহনাফের মা আলেয়া ফেরদৌসী জানান, তাদের ছেলে আহনাফ জন্মগতভাবে থ্যালাসেমিয়া মেজর নামক রক্ত রোগে আক্রান্ত। যার জন্য প্রতি মাসে অন্যের রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। এই রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার একমাত্র উপায় বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট।

তিনি আরও জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ভারতের হারিয়ানা প্রদেশের গুরুগ্রামের ফোর্টিজ হাসপাতালে ডা. বিকাশ দুয়ার অধীনে তার বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। ট্রান্সপ্লান্টের ১১৫ দিন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু প্রোটোকল শেষ হওয়ার চারদিন আগে ৬ এপ্রিল থেকে কমপ্লিকেশন শুরু হয়। যা GVHD ও CMV ভাইরাস নামে পরিচিত।

আহনাফের মা বলেন, এমতাবস্থায় আমাদের আশি লাখ টাকার উপর খরচ হয়ে গেছে। এই চিকিৎসার একেকটি ইঞ্জেকশন অনেক ব্যয়বহুল এবং আহনাফের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ডাক্তার তাকে পুনরায় আইসিইউতে ভর্তি করান। এই চিকিৎসা চালানোর জন্য আরও ২৫ হাজার ডলার প্রয়োজন। কিন্তু এই অবস্থায় পরিবারের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইঞ্জেকশন সঠিক সময়ে দিতে পারলে আহনাফ সুস্থ হয়ে উঠবে। তাই আহনাফের বাবা-মা সবার কাছে আর্থিক সাহায্য ও দোয়া প্রার্থনা করছেন। সবার একটু ভালবাসা, সহানুভূতি ও সহযোগিতা পেলে সবার মাঝে বেঁচে থাকতে পারবে আহনাফ। আসুন না সবাই মিলে চেষ্টা করি, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আহনাফের বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াই।

যোগাযোগ করতে পারেন-আলেয়া ফেরদৌসী, সিটি ব্যাংক, কাওরান বাজার শাখা, ঢাকা। অ্যাকাউন্ট নম্বর- ২৩১১২০৮৯৮৩০০১, রাউটিং নং- ২২৫২৬২৫৩১।

মোবাইল নম্বর: ০১৮৯১-৯৬৫৮৫৪ নম্বরে নগদ ও বিকাশ (আহনাফের মামা)।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন