রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeশিক্ষাস্পিড ব্রেকার নেই, ঝুঁকি নিয়ে চলছেন ইবির শিক্ষার্থীরা

স্পিড ব্রেকার নেই, ঝুঁকি নিয়ে চলছেন ইবির শিক্ষার্থীরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে কোনো স্পিড ব্রেকার না থাকায় দ্রুত গতিতে চলছে বাস, ট্রাকসহ নানা যানবাহন। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।

এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে স্পিড ব্রেকার থাকলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দুপাশে কোনো স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি সাইনবোর্ডে গতিসীমা ২০ কিলোমিটার লেখা থাকলেও রাস্তার ওপর বড় করে ৪০ কিলোমিটার গতিসীমা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এরপরও ক্যাম্পাসের সামনে দিয়ে ৪০-৬০ কিমি কিংবা আরও দ্রুত গতিতে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এতে যেকোনো সময় শিক্ষার্থীরা বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে। এ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামা ও যানবাহন চলাচলে কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপাশে বাসস্টপেজ থাকলেও বাসগুলো তাদের ইচ্ছেমতো স্থানে যাত্রী তুলে আর নামায়। কিছু বাস সম্পূর্ণ না দাঁড়িয়ে এর গতি কমিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিতে দেখা যায়। এ ছাড়াও কিছু বাস যাত্রী তুলতে ক্যাম্পাসের সামনে এসে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। এতে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন শিক্ষার্থী ও অন্য যাত্রীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নানা দরকারে মহাসড়ক পারাপার করা লাগে। কিন্তু সড়কে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলা ও স্পিড ব্রেকার না থাকায় ভয় নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হয়। রাস্তায় দুপাশে স্পিড ব্রেকার বা ফুটওভার ব্রিজ থাকলে রাস্তা পারাপারে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি কমে আসতো।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা চিফ ইঞ্জিনিয়ার অফিসে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মেইন গেইটের দু‍‍`দিকে স্পিড ব্রেকার থাকাটা আবশ্যিক। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারে তাদের নিরাপত্তা দরকার। আমার মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যে গাড়িগুলো যাবে তারা যেন গতিসীমা লঙ্ঘন না করে। আমি চাই যে হাইওয়ের যারা আছেন যথাযথ কর্তৃপক্ষ তারা দৃষ্টি দেবেন।’

ফুটওভার ব্রিজের ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে অবস্থিত তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে ফুটওভার ব্রিজের আবেদন পেলে আমরা রোড হাইওয়ে বিভাগকে জানাব।’

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন