অনেক ভাইদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া জরুরি। শতাধিক যোদ্ধাকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা একটা রাষ্ট্রের জন্য খুব বড় কোনো বিষয় নয়। দরকার হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ৫-১০ জন আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহনের জন্য যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে তত সময় চলে যাচ্ছে, পরিপূর্ণ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক সারজিস আলম আহতদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, পঙ্গু হাসপাতাল ও ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পরিদর্শন করেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, বিকেএমইএর পক্ষ থেকে শতাধিক আহত ভাইকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। সিএমএইচে প্রতিদিন অনেক নতুন রোগী আসছে। প্রায় সবার আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন। অনেকের কাছে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব ইনশাল্লাহ।
প্রত্যেকটা জেলায় আহতদের তদারকি গুরুত্বপূর্ণ। যারা ঢাকায় নেই তাদের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি কেমন, আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে কিনা, পরিবার কিভাবে চলছে সে বিষয়গুলো উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খোঁজ নেওয়া উচিত। দায়িত্বের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
সর্বোপরি, শহীদ পরিবার ও আহতদের বিষয়ে সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরও তৎপর হওয়ার প্রত্যাশা করি। সব জায়গায় লাল ফিতার ঝুলন্ত অবস্থা খাটে না, খাটানো উচিত না।