রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকবিরোধীরাও বন্ড পেয়েছে, এটা কি চাঁদাবাজি: রাহুল গান্ধীকে অমিত শাহ

বিরোধীরাও বন্ড পেয়েছে, এটা কি চাঁদাবাজি: রাহুল গান্ধীকে অমিত শাহ

বাতিল করা নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, বিরোধী দলগুলোও তো বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পেয়েছেন। এগুলোকে কি ‘চাঁদাবাজি’ বলা যাবে?

এনডিটিভি-তে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অমিত শাহ এ কথা বলেন।

এর আগে রাহুল বলেছিলেন, নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা ‘বিশ্বের বৃহত্তম চাঁদাবাজি প্রকল্প’। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন’।

 

রাহুলের মন্তব্যের সমালোচনা করে অমিত শাহ বলেন, ‘তাদের দলগুলোও বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পেয়েছে। এটাও কি চাঁদাবাজি? রাহুল গান্ধীকে অবশ্যই জনগণকে বলতে হবে, হ্যাঁ, আমরাও চাঁদাবাজি করেছি। আর এমপিদের সংখ্যার অনুপাতে আমরা যে পরিমাণ অনুদান পেয়েছি তারা এর থেকেও বেশি পেয়েছে। তাই তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে, কিন্তু সফল হবে না।’

১৫ ফেব্রুয়ারি একটি যুগান্তকারী রায়ে সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকদের তথ্যের অধিকার লঙ্ঘনের ভিত্তিতে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল করে দেয়। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এই স্কিমটি অসাংবিধানিক ও স্বেচ্ছাচারী ছিল। এটি রাজনৈতিক দল ও দাতাদের মধ্যে একটি সমঝোতার মাধ্যম।

 

পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায়ে বলেছিলেন, কালো টাকা সাদা করা এবং দাতাদের গোপনীয়তা বজায় রাখার উদ্দেশ্য থাকায় প্রকল্পটি বাতিল করা হলো। নির্বাচনী বন্ড কালো টাকা রোধ করার একমাত্র উপায় নয়।

 

পরবর্তীতে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী বিজেপি এই বন্ডগুলোর মাধ্যমে সর্বাধিক তহবিল পেয়েছে, প্রায় ৬ হাজার ৯৮৬ কোটি রুপি। একইভাবে কংগ্রেস ১ হাজার ৩৩৪ কোটি রুপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস ১ হাজার ৩৯৭ কোটি সংগ্রহ করেছে।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন