যথাযথ বাছাই বা গুরুত্ব নির্ধারণ ছাড়া প্রকল্প না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জনগণের কল্যাণে ও দ্রুত আইটপুট পাওয়া যায় এমন প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ার জন্য নির্ধারণ করতে হবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে ব্রিফ করেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সাচিব সত্যজিত কর্মকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিঞা, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সচিব কাউসার আহম্মদ এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনাগুলো হচ্ছে- যেসব প্রকল্প শেষের দিকে সেগুলো সচিবদের সঙ্গে বসে দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নিতে মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এসব প্রকল্পের যথাযথ অর্থছাড়ের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেই সঙ্গে সমাপ্ত প্রকল্পগুলোর প্রভাব মূল্যায়ন করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া কোনো জমি পতিত রাখা না রাখার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উৎপাদন বাড়াতে হবে। যাতে কোনো জমি পতিত না থাকে।
পাশাপাশি বিদেশী ঋণের যথাযথ ব্যবহার করতেও নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, পাইপ লাইনে যাতে বৈদেশিক ঋণের অর্থ পড়ে না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। সেইসঙ্গে জলবায়ু তহবিল থেকে এডিবিসহ যেসব সংস্থান ঋণ দিচ্ছে চাচ্ছে তাদের ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেসব প্রকল্পের যন্ত্রপাতি দেশেই উৎপাদন করা সম্ভব সেগুলো যেন দেশেই উৎপাদন করা হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
সত্যজিত কর্মকার জানান, যারা প্রশিক্ষণ নেবেন তাদের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর।