সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত দেশব্যাপী সড়ক-রেল-নৌপথ, রাজপথসহ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট।
বুধবার (১ নভেম্বর) ভোর হতেই সারা দেশে শুরু হয়েছে এই অবরোধ।
গত রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পর ওইদিন সন্ধ্যায় টানা তিনদিনের সর্বাত্মক অবরোধের কর্মসূচি দেয় বিএনপি, সমমনা দল ও জোট।
তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিডিআর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
অবরোধের ২য় দিনের সকালে ঢাকার তিনটি স্থানে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মহানগরী জামায়াত ইসলাম। এর মধ্যে গেন্ডারিয়া রেলস্টেশন অবরোধ, পোস্তাগোলায় মহাসড়ক অবরোধ, মালিবাগে রেলপথ অবরোধ করা হয়।
কর্মসূচি সফলে সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিরোধী জোটগুলো।
অবরোধের মাধ্যমে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোট গুলো রাজধানী ঢাকাকে দেশের অন্য সব জেলা থেকে এবং জেলা শহরগুলোকে অন্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। সে লক্ষ্যে দলটির নেতাকর্মীরা ঢাকাকে ঘিরে মহাসড়কগুলোতে এবং জেলা উপজেলার মহাসড়কে, রেলপথ ও নৌপথে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে। তবে সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ এবং অক্সিজেন বহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে বলে দল গুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়।