সংবাদ পোস্ট ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সোজা কথা। আমরা ২৮ অক্টোবর সমাবেশ করব। যেখানে (নয়াপল্টনে) বসার কথা সেখানে আমরা না বসলে সারা ঢাকার অলি-গলিতে ছড়িয়ে পড়ব, যার যা আছে তা নিয়ে বসে পড়ব। দেখবেন প্রত্যেক মানুষ ঘরের দরজা খুলে রাস্তায় নেমে আসবে। এখন টের পাচ্ছেন না তখন টের পাবেন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এক দফা দাবিতে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা প্রত্যেকটা কর্মসূচি গণতান্ত্রিকভাবে করছি, গণতান্ত্রিকভাবেই করব। আর পুলিশ-প্রশাসনের লোক কিছু বাড়তি কথা-বার্তা বলেন। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলব, রাজনৈতিক বিতর্ক রাজনীতিবিদদের মধ্যে থাকতে দেন। রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে আপনারা জড়াবেন না। আমি কোথায় মিটিং করব এবং কোথায় করতে পারব না, সেটা পুলিশের অনুমতি নিয়ে করতে হবে- সংবিধানের কোথায় আছে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সব রাজনৈতিক দল সমাবেশ করার সময় স্থানীয় থানাকে অবহিত করে। তাদের দায়িত্ব আছে গণনিরাপত্তা এবং যারা মিটিং করে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া।
আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, এটা একটা ভালো কাজ করেছেন। বর্তমানে পুলিশের যে চরিত্র তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতই অপরাধ করুক, তিনি যদি ক্ষমতায় নাও থাকেন তাকে গ্রেপ্তার করতে নাও যেতে পারে। তখন আমরা আনসারকে কাজে লাগাতে পারব।