1. abdullahalniat1952@gmail.com : Abdullah Al Niat : Abdullah Al Niat
  2. rangpursangbad@gmail.com : সংবাদ পোস্ট : সংবাদ পোস্ট
  3. almahmudapu100@gmail.com : Al Mahmud Apu : Al Mahmud Apu
  4. arfanislamridoy500@gmail.com : Arfan Islam Ridoy : Arfan Islam Ridoy
  5. bayjid2001@gmail.com : Bayjid Sarker : Bayjid Sarker
  6. hasanalsakib68@gmail.com : Hasan al Sakib Sakib : Hasan al Sakib Sakib
  7. mmjouhan@gmail.com : Mohammad Jouhan : Mohammad Jouhan
  8. hmrazib017saklain@gmail.com : Razib saklain : Razib saklain
  9. k83237@gmail.com : sagor : sagor
  10. shekhrifat16@gmail.com : Niat :
  11. tasnimbentayronggon@gmail.com : Tasnim Bentay Ronggon : Tasnim
  12. instagramhileci@gmail.com : wpapixx :
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ অপরাহ্ন

রাশিয়ার ‘বন্ধু’ হিসেবে যেসব সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

সংবাদ পোস্ট
  • প্রকাশ কাল: সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৭৭ জন দেখেছেন

বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে তালিকাভূক্ত করেছে রাশিয়া। গত শনিবার ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস তাদের ভেরিফাইড ফেসবুকে পেইজ এবং এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে জানায় রাশিয়া।

শুধু বাংলাদেশ নয় এ তালিকায় আরও ২৯টি দেশ রয়েছে। এগুলো হলো- আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, চীন, কিউবা, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মঙ্গোলিয়া, ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে তেমন তাৎপর্যপূর্ণ না হলেও এর কূটনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশ-সহ তালিকায় থাকা দেশগুলোকে রাশিয়ান মুদ্রাবাজার এবং ডেরিভেটিভস বাজারে বাণিজ্য করার অনুমতি দেবে মস্কো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশে রুবলের রিজার্ভ খুব সীমিত। রুবল, কনভার্টেবল বা বিনিময়যোগ্য মুদ্রা হিসেবে জনপ্রিয় না হওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনে এখনো এই মুদ্রা তেমন ব্যাপক হারে ব্যবহার হয় না। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করে এমন ব্যাংকগুলোও রুবল রাখে না।ফলে সরাসরি রুবলে লেনদেন তেমন হয় না। তৃতীয় কোনো মুদ্রায় কনভার্ট করে তারপর লেনদেন করতে হয়। এক্ষেত্রে চীনের ইউয়ান তৃতীয় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার হলেও সেটার পরিধিও বেশ সীমিত।

এ অবস্থায় রাশিয়ার বন্ধু তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থনৈতিক বা প্রায়োগিক তাৎপর্য বিশেষ নেই বলেই মনে করেন অর্থনীতিবিদ এবং বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য খুবই সীমিত। করোনার পরে বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে তা আরও অনেক কমে গেছে। রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের লেনদেনে এই মুহূর্তে যে সমস্যা রয়েছে সেটি সমাধানে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের তালিকাভুক্তি খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না বলেই মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, নতুন বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে পেমেন্টের জন্য আমাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণের রুবল এবং তাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা থাকতে হবে। কিন্তু বাণিজ্যের জন্য যতোটা রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন সেটা নেই।

সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট সের্গেই ল্যাভরভের সফরের সময় দুই দেশের নিজেদের মুদ্রায় লেনদেনের বিষয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ার যেসব ব্যাংক ও জাহাজ নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই, সেগুলোর মাধ্যমে লেনদেন করা যায় কিনা সেই সমস্ত বিকল্প খোঁজা হয়েছে।

ল্যাভরভের সফরের প্রাক্কালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দেশের একক মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছে। তাদের কারেন্সিতে (রুবল) লেনদেন নিয়ে ভাসা ভাসা আলোচনা হতে পারে। কেননা বাংলাদেশের হাতে তো রুবল নেই।

তবে এই বাণিজ্য সুবিধা দেয়ার বিষয়টি যতোটা না অর্থনৈতিক তার চাইতে বেশি রাজনৈতিক বলে সাথে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সামিয়া জামান।

তিনি বলেন, এই সুযোগে বাংলাদেশের অনেক লাভ হবে কিনা বা বাণিজ্যের পরিধি বাড়বে কিনা সেটা জরুরি না। তবে পশ্চিমাদের চাপের মুখে থাকা বাংলাদেশকে রাশিয়া যে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনের সুযোগ খুলে দিয়েছে, সেই বার্তা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন ডলারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আমদানি-রপ্তানির লেনদেন করে থাকে। এছাড়া ইউরো, পাউন্ড, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, চীনা মুদ্রা ইউয়ান ও কানাডিয়ান ডলারে কিছু লেনদেন হয়। এর বাইরে ভারতের সঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থায় টাকা-রুপিতে বাণিজ্য শুরু হয়েছে।

সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ বেশ কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুই দেশের লেনদেন ডলার কিংবা ইউরোতে হয়েছে। সেই ঋণপত্রও খোলা হয়েছে মার্কিন ডলার এবং ইউরোতে। এর বাইরে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য দুই দেশের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও রুবলে হয় না।

বর্তমানে রাশিয়ার বাজারে সরাসরি বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সুযোগ তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। এর মূল কারণ রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন হয় না। এছাড়া বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক জটিলতার কারণে রাশিয়ার বাজারে বাণিজ্য আশা অনুযায়ী বাড়ছে না।

রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি করতে হয় তৃতীয় দেশের মাধ্যমে এবং মান্ধাতার আমলের টেলিগ্রাফিক লেনদেন (টিটি) পদ্ধতিতে। এমন অবস্থায় রাশিয়ার বন্ধু তালিকায় অন্তর্ভুক্তি রাতারাতি কোনো পরিবর্তন আনবে এমন প্রত্যাশা করছেন না বিশ্লেষকরা।

রাশিয়া তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার অংশ হিসেবে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সাথে রুবলে লেনদেনের সুযোগ খুলে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর কয়েক দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

যুদ্ধ শুরুর পর ১২০০ বহুজাতিক কোম্পানি রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ করে। এতে আমদানি ক্রমান্বয়ে বাড়লেও, সেই তুলনায় রপ্তানি আয় কমে যায়। যা দেশটির অর্থনীতিকে কিছুটা কোণঠাসা করে ফেলে। এতে ডলারের তুলনায় সামগ্রিকভাবে প্রায় ২৫ শতাংশ মান হারায় রুবল।

এই অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা চাঙা করতে দেশটি সুদের হার ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। অর্থনীতির এমন টালমাটাল অবস্থায় বাণিজ্য সুবিধা দুয়ার খুলে সেই তালিকা প্রকাশ করলো রাশিয়া।

এই তালিকার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের আধিপত্য ভেঙ্গে রাশিয়া তাদের মুদ্রার আধিপত্য তৈরির চেষ্টায় আছে বলে ধারণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সামিয়া জামান।

তবে পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশকে যেভাবে চাপের মুখে রেখেছে, সেখানে রাশিয়ার এই বন্ধুপ্রতিম মনোভাব ইতিবাচক বার্তা দেয় বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সামিয়া জামান।

অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, পশ্চিমা চাপে থাকা অবস্থায় রাশিয়ার এই তালিকাভুক্তি সরকারকে কিছু সাহস দিতে পারে। এর ফলাফল শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

তিনি জানান, বাংলাদেশ এই ভূ রাজনীতিতে রাশিয়ার দিকে ধাবিত হলে, পশ্চিমাদের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক সাহায্য, রেমিট্যান্স, ইত্যাদির ওপর নেতিবাচক প্রভাবিত পড়তে পারে। এ ব্যাপারে সরকারকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি যেন অর্থনৈতিক সমস্যাকে আরও জটিল না করে।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো খবর
Sangbadpost © All rights reserved 2022
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )