একের পর এক আইনি সমস্যায় জড়িত হওয়ার পরও ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে একটুও কমছে না দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা৷ বরং বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় জড়িয়ে পড়ার পর আরও শক্তিশালী হয়েছে তার অবস্থান৷ এমন ঘটনা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বিশ্ববাসীর মনে।
বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল (৩১ জুলাই) সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি জনমত জরিপের দেখা গেছে, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিসের চেয়ে গড়ে ৩৭ পয়েন্টের কমান্ডিং লিড পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে অংশ নেওয়া ১৪ জন প্রার্থীর অন্য কেউ ৬ শতাংশের এর বেশি স্কোর করেনি, এবং অর্ধেকেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর স্কোরও ১ শতাংশের নিচে।
এর আগে চলতি বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়, জনমত জরিপে ডিসান্টিসের থেকে ট্রাম্পের লিড ছিল মাত্র দুই পয়েন্ট বেশি। গত চার মাসে দুটি ফৌজদারি মামলায় জড়িয়ে পড়ার পর আরও শক্ত হয়েছে ট্রাম্পের সমর্থন। জরিপের গড় অনুসারে, ট্রাম্প গ্রেপ্তার এবং আদালতে হাজির হওয়ার পর থেকেই বেশিরভাগ রিপাবলিকান ভোটারদের প্রথম পছন্দ।
মার্কিন পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্টের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশই রিপাবলিকান ভোটার যাদের বন্ধন ভাঙ্গা বেশ কঠিন হবে। ট্রাম্পের সমর্থকরা তার চোখ দিয়ে পৃথিবী দেখে। তারা বিশ্বাস করে, তার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনি সমস্যার বিষয়ে ভোটারদের মতামত,
বিবিসির অংশীদার সংবাদ মাধ্যম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নিউজের জুনের একটি জরিপে দেখা যায়, রিপাবলিকান প্রাথমিক ভোটারদের ৭৬ শতাংশ বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ্রেণীবদ্ধ নথি গোপনের অভিযোগটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
কেবল ৩৮ শতাংশ ভোটার ভাবছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি অফিস ছাড়ার পর পারমাণবিক বা সামরিক বিষয় সংক্রান্ত নথি রাখলে এটি জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হতে পারে। ভোটারদের ৬১ শতাংশ বলেছেন, ট্রাম্পের অভিযোগগুলোর কারণে তাদের মনোভাব পরিবর্তন হয়নি। ১৪ শতাংশ বলেছেন, অভিযোগের পর তারা তাকে আরও ইতিবাচকভাবে দেখেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি দোষী প্রমাণিত হলে এমনকি শাস্তি পেলেও তিনি তার রাষ্ট্রপতির প্রচারণা শেষ করবেন না।