সিরাজগঞ্জে গত ১২ ঘণ্টায় ৪টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা রয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার শাহজাদপুর, কামারখন্দ, বেলকুচি ও সদর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী গ্রামের আব্দুল আল মামুনের ছেলে ও পাঠশালা স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র সিফাত রহমান (৭), কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের মৃত তোফজ্জল মণ্ডলের মেয়ে সালেহা (৫০), বেলকুচি সদর ইউনিয়নের মুলকান্দি দশখাদা গ্রামের মৃত আব্দুস ছালাম প্রামাণিকের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২০) ও শাহজাদপুর পৌর সভার দ্বারিয়াপুর মহল্লার ইসহাক আলীর পালিত ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮)।
সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম শাহ জানান, সকালে বাড়ি থেকে বাবা আব্দুল আল মামুনের মোটরসাইকেলযোগে পৌর এলাকার বাইরে গোলা পাঠশালা স্কুলের সামনে আসে সিফাত। মোটরসাইকেল থেকে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময় কাঠেরপুল থেকে শহরের দিকে যাওয়ার সময় একটি অটোরিক্সা সিফাত রহমানকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সিফাতের মৃত্যু হয়।
কামারখন্দ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী প্রধান বলেন, স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়ায় সালেহা দীর্ঘদিন ধরে সাংসারিক নানা কারণে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, বেলকুচি সদর ইউনিয়নের মুলকান্দি দশখাদা গ্রামে একটি খোলা মাঠে মনিরুলের গলাকাটা মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শাহজাদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে মানসিক অশান্তিতে থাকা সাদ্দাম হোসেন তার বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের অপরিচিতি এক ব্যক্তির বাড়ির কাঁঠালগাছের সঙ্গে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।