রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeজাতীয়একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়:শিক্ষামন্ত্রী

একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়:শিক্ষামন্ত্রী

 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। তারা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে ফায়দা লুটে দেশের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি নষ্ট করে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়। এসব জরাজীর্ণতা পেছনে ফেলে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিই বাংলাদেশকে সামনের দিকে ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে পারে। যারা সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় তাদের নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া যায় না।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা কলেজের শহীদ আ.ন.ম নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে শুধুমাত্র ধর্মীয় চিন্তার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান নামক অলীক রাষ্ট্র গঠন করা হয়। যেখানে দুটি দেশের মধ্যে ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এমনকি ধর্মীয় আচার পালনেও মিল ছিল না। শুধু তাই নয় রাষ্ট্র গঠনের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর শোষণ, নিপীড়ন এবং অত্যাচার দেখে তৎকালীন ছাত্রনেতা বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন যে ৪৭ সালের স্বাধীনতা আসল বাঙালীর স্বাধীনতা নয়। তখন থেকেই তিনি অন্যায়, অবিচার এবং অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার দাবির ব্যাপারে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত কখনো নেননি। সব জেনে-বুঝে দূরদর্শিতার সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সামনের দিকে এগিয়েছেন। যার ফলে ১৯৭১ সালেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করতে চেয়েছিল পাকিস্তানি শাসকরা। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপের কারণে তা করতে না পেরে পরবর্তীতে একই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে ১৯৭৫ সালে। একইসঙ্গে ৭১ সালে পরাজয় নিশ্চিত জেনে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা, অর্থাৎ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

যারা সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটায়, তাদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, আমার এই স্বাধীনতায় যত রক্তক্ষরণ হয়েছে—সেখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবার রক্ত রয়েছে। সুতরাং এই বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে সাম্প্রদায়িকতার কথা বলা যায়। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান যারা ঘটাতে চায়, তাদের নিয়ে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। তাই যেকোনো মূল্যে এসব অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

সভায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (কলেজ ও প্রশাসন) বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য।

সভায় আলোচনা করেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন ও ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনিরা বেগম।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন