নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সাপকে বিশ্বাস করা যায়। বিএনপি জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না। আমরা বিষধর সাপকে নিয়ে অত্যন্ত সর্তক, দেশবাসীও সর্তক রয়েছে।
সোমবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটি মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাড.জাহাঙ্গীর কবির নানক মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির আহবায়ক।
তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্যটা কী? তাদের উদ্দেশ্যটা হলো দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা। দেশে গোলযোগ সৃষ্টি করা।দেশের মানুষ কেমন আছে, কেমন থাকবে, কেমন রাখার দরকার, সেই বিষয় তাদের মাথায় কোনো দিন ছিল না। তারা যখন ক্ষমতা ছিল তখনও তারা দায়িত্ব পালন করেনি। তাদের বালকসুলভ আচরণ, এটি কোনো রাজনৈতিক দায়িত্বশীল আচরণ নয় বা রাজনৈতিক সৃষ্টাচার নিয়ে কোনো কথা নয়।
মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির আহবায়ক বলেন, তারা (বিএনপি) দশ লক্ষ লোক জমায়েত করবে এই কথাটি তারা চিৎকার করে বলেছে, তাদেরকে অবশ্যই দশ লক্ষ লোক জমায়েত হতে পারে এমনতর জায়গা যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন,২০১৪ সালে এই বিএনপি জামায়াত এদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। বাস পুড়িয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে। রেললাইন উপড়ে ফেলেছে, রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছে। কাজের সাপকে বিশ্বাস করা যায়। কিন্তু বিএনপি জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না। আমরা বিষধর সাপকে নিয়ে আমরা অত্যন্ত সর্তক। দেশবাসীও সর্তক।
তিনি বলেন, সম্মেলন নিয়ে আনন্দ উৎসবের কোনো ঘারতি নাই। আমাদের নেত্রী কঠোর ভাবে বলেছেন, বৈশ্বিক এই সংকটে মধ্যে সমস্ত সম্মেলনগুলো অত্যন্ত সীমিত পরিসরে এবং স্বল্প খরচের মধ্য দিয়ে সম্মেলনগুলো অনুষ্ঠিত করতে হবে। আমরা সেই নির্দেশনা অনুসরণ করে সকল সম্মেলনগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য দৃঢ় ও সংকল্পবদ্ধ।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই নেতা আরো বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যখন বৈশ্বিক সংকট, অর্থনীতিক অবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য যখন প্রান্তর চেষ্টা করছেন তখন বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল, তাদের দন্ডপ্রাপ্ত দুইজন নেতা খালেদা জিয়া এবং তারেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির দেশের মানুষের প্রতি যদি কতব্যবোধ থাকে, মমত্ববোধ থাকে, তাহলে তাদের সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেবার কথা ছিল। পক্ষান্তরে দেখা যাচ্ছে, তারা আর কালবিলম্ব করতে চায় না। যেভাব৷ হোক,যা কিছু করেই হোক তাদের দন্ডপ্রাপ্ত খালেদা এবং দন্ডপ্রাপ্ত লন্ডনে অবস্থানরত তারেককে দেশে ফিরে আনাই তাদের এক মাত্র লক্ষ্য। এই দলটির দেশের প্রতি কোনো মমত্ববোধ নেই। দেশের মানুষের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তারা অনেক পরিকল্পনা করছে দেশের ভিতর অস্থিতিশীলতার জন্য।আগামী মাস বিজয়ের মাস। বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে বাঙালী জাতীয়, বিজয় দিবস অত্যন্ত উৎসাহ,উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করবে।
তিনি আরো বলেন, যে উদ্যানে জাতীয় পিতা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে, হাজার বছরের বাঙালি জাতিকে তিনি মুক্তির পথ দেখিয়ে দিক নিদেশনা দিয়েছিলেন। এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনগুলো করার মধ্য দিয়ে আগামী দিনের পথ রচনা কবর।
এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী,
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমানসহ মঞ্চ ও সাজসজ্জা কমিটির সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।