কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে হঠাৎ কয়েকশ টন মরা মাছ ভেসে এসেছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সৈকতের ডায়াবেটিস ও শৈবাল পয়েন্টে ঢেউয়ের সঙ্গে ছোট এবং মাঝারি আকারের মাছ ভেসে আসতে দেখা যায়।
মাছ ভেসে আসার খবরে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক হাজার স্থানীয় লোকজন ভিড় জমান। পাশাপাশি ভোর ৬টা থেকে মাছগুলো উত্তোলন শুরু করে এবং দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই মাছ নিয়ে যায়। অনেককেই বাসাবাড়িতে প্রয়োজনীয় মাছ রেখে বাকি মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া কোনো বড় ট্রলার থেকে জাল ছিঁড়ে এই মাছ ভেসে এসেছে, যা জোয়ারের পানিতে সৈকতের উপকূলে এসে জমা হয়েছে। কারণ কয়েক কিলোমিটারজুড়ে ভেসে আসা মাছের সঙ্গে জালও পাওয়া গেছে। তারা আরও জানান, যেসব মাছ ভেসে এসেছে সব মাছ তরতাজা রয়েছে। কোনো মাছ পঁচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়নি।
কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এমএ মঞ্জুর জানিয়েছেন, নাজিরারটেক থেকে ডায়াবেটিস ও শৈবাল পয়েন্ট হয়ে কবিতা সত্বর পর্যন্ত সৈকতজুড়ে শুধু মাছ আর মাছ। ভেসে আসা মাছগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বড় কোনো মাছ ছিল না। সবই ছোট ও মাঝারি আকারের কয়েক প্রজাতির মাছ ছিল।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে আকস্মিকভাবে সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে বিপুল পরিমাণে মরা মাছ ভেসে আসতে থাকে। মাছ ভেসে আসার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে প্রচার হয়।
কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক কর্মকর্তা বলেন, সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে মাছ ভেসে আসার খবর পেয়ে একটি টিম সেখানে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মরা মাছ এবং পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই স্থানের জেলেরা দাবি করছেন, ঘের জালে বেশি মাছ আটকা পড়ার কারণে হয়তো কোনো জেলে দলের জাল ছিঁড়ে মাছের মৃত্যু হয়েছে। সেই মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে। জেলেদের এই তথ্যও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে থাকা সংবাদকর্মী সাজ্জাদ হোসেন জানান, সৈকতের তিন কিলোমিটারজুড়ে কয়েক টন মাছ ভেসে এসেছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা মাছ গুলি স্থানীয় লোকজন ৫-৬ ঘণ্টা ধরে সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। আবার অনেক মাছ ব্যবসায়ী স্থানীয়দের সংগ্রহকৃত মাছ কিনে নিয়েছে।